এন্টিভাইরাস নিয়মিত কি করা উচিত ২০২৫ - Your Antivirus isn't Enough,Do This 2025

 

এন্টিভাইরাস নিয়মিত কি করা উচিত - Your Antivirus isn't Enough,Do This
Your Antivirus isn't Enough,Do This

এন্টিভাইরাস নিয়মিত কি করা উচিত : 
আজকের বর্তমান সময় হচ্ছে  ডিজিটাল যুগ, যেখানে ব্যাপক পরিমাণে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্মার্টফোন মত ডিভাইসে ব্যাবহার বেড়েই চলেছে এবং তার সাথে ভাইরাস, ম্যালওয়্যার হ্যাকারদের থেকে বাঁচতে বিভিন্ন এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যাবহার করি।

তবে শুধু সাধারণ ব্যাবহার করলে হবে না, নিয়মিত যত্ন নিতে হয়  যেমন: আপডেট করা, স্ক্যান চালানো, সেটিংস চেক করা ইত্যাদি।

আজকে এই লেখাতে আপনাকে সাহায্য করবো যে  কীভাবে  এন্টিভাইরাসকে সঠিক ভাবে ব্যাবহার, করতে হয়। 

এন্টিভাইরাস নিয়মিত কি করা উচিত - Your Antivirus isn't Enough,Do This Regularly

আজকের দিনে শুধু অ্যান্টিভাইরাস দিলেই হবে না—নিয়মিত আপডেট, ফুল স্ক্যান আর রিয়েল-টাইম প্রোটেকশন চালু রাখা খুব জরুরি। নতুন নতুন ভাইরাস প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে, তাই অ্যান্টিভাইরাসকে আপডেট না রাখলে তা কাজ করবে না।

সন্দেহজনক ইমেইল বা লিংক থেকে দূরে থাকুন। এই কিছু অভ্যাসে আপনার ডিভাইস থাকবে অনেক বেশি নিরাপদ।

ভাইরাস কী? - What is Virus in Bangla

ভাইরাস হলো একধরনের ক্ষতিকারক কম্পিউটার প্রোগ্রাম, যেটা আপনার কম্পিউটার, মোবাইল বা ট্যাবলেটে ঢুকে পড়ে। এটি ফাইল নষ্ট করতে পারে, আপনার ব্যক্তিগত ডেটা চুরি করতে পারে বা ডিভাইসটিকে ধীরে করে দিতে পারে।

অ্যান্টিভাইরাস কী? - What is Antivirus in Bangla

অ্যান্টিভাইরাস হলো একটি সফটওয়্যার, যেটা ভাইরাস থেকে আপনার ডিভাইসকে রক্ষা করে। এটি ভাইরাস খুঁজে বের করে, আটকে রাখে এবং মুছে ফেলে। অ্যান্টিভাইরাস হলো আপনার কম্পিউটারের একপ্রকার রক্ষাকবচ।

 

তবে এই এন্টিভাইরাসকে নিয়মিত সঠিক ভাবে ব্যাবহার করতে হবে, যেমন - 

১. এন্টিভাইরাসকে আপডেট রাখুন

 
আপনার এন্টিভাইরাস পুরনো হলে সেটা নতুন ভাইরাস চিনতে পারবে না। প্রতিদিন লাখ লাখ নতুন ভাইরাস তৈরি হয়, তাই এন্টিভাইরাসকে সবসময় নতুন তথ্য দিয়ে আপডেট রাখা জরুরি।

কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?
প্রতিদিন প্রায় ৫ লক্ষ নতুন ক্ষতিকর প্রোগ্রাম,   ম্যালওয়্যার তৈরি হয়। এরা আগের ভাইরাসের মতো না এরা আরও চালাক। যদি আপনার এন্টিভাইরাসে সেই নতুন ভাইরাসের তথ্য না থাকে, তাহলে সেটা ভাইরাস চিনতেই পারবে না। তাই নিয়মিত আপডেট করলেই আপনার কম্পিউটার বা ফোন নিরাপদ থাকবে।
এর জন্য আপনাকে প্রথমে এন্টিভাইরাসের সেটিংসে গিয়ে "Automatic Updates" নামে অপশনটি থাকবে, সেটি ON করে দিন। এতে প্রতিদিন নিজে নিজেই আপডেট হয়ে যাবে।

2. ফুল সিস্টেম স্ক্যান – 

যেমন একজন ডাক্তার পুরো শরীর পরীক্ষা করে দেখে, ঠিক তেমনি আপনার ডিভাইসকে ফুল স্ক্যান করলে এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার  আপনার কম্পিউটার বা মোবাইলের সব ফাইল, ফোল্ডার, সফটওয়্যার একবারে ভালোভাবে খুঁজে দেখে  কোনো ভাইরাস লুকিয়ে আছে কি না।

কেন এটি দরকার?
এমন অনেক ভাইরাস আছে তারা এমনভাবে মোবাইলে লুকিয়ে থাকে, যাতে সাধারণ স্ক্যানে ধরা না পড়ে। বিশেষ করে কিছু ভাইরাস যেমন Rootkit নামে ভাইরাস আছে যা  সিস্টেমের গভীরে এমন ভাবে থাকে যাকে শনাক্ত করা কঠিন হয়। কিন্তু ফুল স্ক্যান করলে ত ধরা পড়ে।

আপনি কী করবেন?

প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে একবার ফুল স্ক্যান করা খুবই দরকার। রাতে যখন আপনি ডিভাইস ব্যবহার করছেন না, তখন স্ক্যান চালিয়ে দিন।
এতে ১ থেকে ৪ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।
প্রতিদিন অন্তত একবার ৫১০ মিনিটের জন্য কুইক স্ক্যান করে ফেলুন।
এতে সিস্টেমের গুরুত্বপূর্ণ অংশ চেক হয়ে যায়।

আর যদি আপনি বাইরে থেকে কোনো পেনড্রাইভ বা মেমোরি কার্ড আনেন, তাহলে সেটি কম্পিউটারে লাগানোর আগে অবশ্যই স্ক্যান করুন। কারণ, ইউএসবি ডিভাইসের মাধ্যমেই বেশি ভাইরাস ছড়ায়।

৩. রিয়েল-টাইম প্রোটেকশন:

রিয়েল-টাইম প্রোটেকশন হলো আপনার কম্পিউটার বা ফোনের জন্য একটি ২৪ ঘণ্টার নিরাপত্তা প্রহরী। এটি আপনার ডিভাইসে ঢোকার চেষ্টা করা প্রতিটি ফাইল, অ্যাপ বা লিঙ্ককে মুহূর্তেই চেক করে এবং ভাইরাস শনাক্ত করলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্লক করে দেয়।

রিয়েল-টাইম প্রোটেকশন কী?

মনে করুন, আপনি ইন্টারনেট থেকে একটি গেম ডাউনলোড করছেন বা কোনো ওয়েবসাইটে লগইন করতে একটি পাসওয়ার্ড লিখছেন। রিয়েল-টাইম প্রোটেকশন সেই মুহূর্তেই সেই গেম ফাইল বা ওয়েবসাইটটি স্ক্যান করে দেখেএটি নিরাপদ কিনা। যদি ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার পাওয়া যায়, তাহলে এটি আপনাকে সতর্ক করে দেয় এবং ফাইলটি ডিলিট বা কোয়ারেন্টিন করে দেয়।
এটি এত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি আমাদের কম্পিউটার ও ব্যক্তিগত তথ্যকে তাৎক্ষণিক সুরক্ষা দেয়।
প্রথমত, এটি ভাইরাস ঢোকার আগেই সেগুলোকে ব্লক করে দেয়।
দ্বিতীয়ত, এটি নিরাপদ ব্রাউজিং নিশ্চিত করে, ফলে ফিশিং ওয়েবসাইট বা ক্ষতিকর লিঙ্কে ক্লিক করে প্রতারণার শিকার হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
তৃতীয়ত, এটি আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ডেটা যেমন ব্যাংকিং তথ্য ও পাসওয়ার্ড চুরি হওয়ার হাত থেকে নিরাপদ রাখে। এসব কারণেই এটি ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি।

৪. কোয়ারেন্টিন কী?

কোয়ারেন্টিন হলো একটি আইসোলেশন জোন বা আলাদা জায়গা, যেখানে এন্টিভাইরাস সন্দেহজনক বা ক্ষতিকর ফাইলগুলোকে লক করে রাখে।
এই ফাইলগুলো আপনার কম্পিউটারের মূল সিস্টেম বা অন্যান্য ফোল্ডারে প্রবেশ করতে পারে না, ফলে ভাইরাস ছড়াতে পারে না।

কোয়ারেন্টিন ম্যানেজমেন্ট কেন জরুরি?

ক্ষতিকর ফাইল আলাদা থাকায় সিস্টেমের অন্যান্য অংশে ছড়াতে পারে না।

জরুরি ফাইল ভুলবশত ডিলিট হওয়া থেকে বাঁচায় যেমন: কোনো নিরাপদ ফাইল ভুল করে ভাইরাস হিসেবে চিহ্নিত হলে।

আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেনফাইলটি ডিলিট করবেন নাকি রিস্টোর করবেন।

৫. ফায়ারওয়াল: 

ফায়ারওয়াল হলো আপনার কম্পিউটার বা নেটওয়ার্কের একটি অদৃশ্য সুরক্ষা প্রাচীর, যা অবাঞ্ছিত ও বিপজ্জনক ট্র্যাফিককে ব্লক করে।
এটি আপনার ডিভাইসকে হ্যাকার, ম্যালওয়্যার এবং অন্যান্য সাইবার হুমকি থেকে রক্ষা করে।

ফায়ারওয়াল কীভাবে কাজ করে?

ফায়ারওয়াল আপনার ইন্টারনেট সংযোগ এবং ডিভাইসের মধ্যে একটি ফিল্টার হিসেবে কাজ করে।
যখন কোনো ডেটা যেমন: ওয়েবসাইটের তথ্য, ফাইল ডাউনলোড আপনার ডিভাইসে প্রবেশ করে, ফায়ারওয়াল সেটি স্ক্যান করে।
যদি এটি বিপজ্জনক বা সন্দেহজনক হয়, তাহলে ফায়ারওয়াল তা ব্লক করে দেয়।
উদাহরণ: মনে করুন, একজন হ্যাকার আপনার কম্পিউটারে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে। ফায়ারওয়াল এই চেষ্টা ধরে ফেলে এবং হ্যাকারকে ব্লক করে দেয়। এভাবে আপনার ব্যক্তিগত ডেটা যেমন: পাসওয়ার্ড, ছবি নিরাপদ থাকে।

ফায়ারওয়াল কেন জরুরি?

হ্যাকার বা ম্যালওয়্যার আপনার ডিভাইসে ঢুকতে পারবে না।
ব্যাংকিং, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের মতো সেনসিটিভ তথ্য চুরি রোধ।

   ওয়াই-ফাই বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে হওয়া আক্রমণ থেকে বাঁচায়

৬. সন্দেহজনক লিঙ্ক এড়িয়ে চলুন বা ফিশিংয়ের ফাঁদ থেকে রক্ষা করে।

ফিশিং হলো এক ধরনের সাইবার প্রতারণা, যেখানে হ্যাকাররা আপনাকে ধোঁকা দিয়ে ব্যক্তিগত তথ্য যেমন: পাসওয়ার্ড, ব্যাংক ডিটেইলস চুরি করে।
এই প্রতারণার প্রধান হাতিয়ার হলো সন্দেহজনক লিঙ্ক বা ইমেইল।

কীভাবে চিনবেন সন্দেহজনক লিঙ্ক?

কোনো অজানা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে অ্যাটাচমেন্ট বা লিঙ্ক এলে সতর্ক হোন।

"আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হবে!", "জরুরি: এখনই ক্লিক করুন!" এই ধরনের কোনো mail, sms হলো ফিশিংয়ের লক্ষণ।

সন্দেহজনক URL যেমন, লিঙ্কে প্রতিষ্ঠানের নামের বানান ভুল থাকতে পারে (যেমন: "Amaz0n.com" বা "Fcebook-login.com")

 HTTPS নেই অর্থাৎ নিরাপদ ওয়েবসাইটের URL-এ "https://" থাকবে এবং একটি তালা আইকন থাকে।

কী করবেন যদি সন্দেহজনক লিঙ্ক পেয়ে যান?

লিঙ্ক বা অ্যাটাচমেন্ট ওপেন করা থেকে বিরত থাকুন।

সরাসরি ট্র্যাশে পাঠান।

যদি ব্যাংক বা কোনো সাইটের নামে ইমেইল আসে, তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে নিশ্চিত হোন।

অ্যান্টিভাইরাস স্ক্যান করুন। কোনো ফাইল ডাউনলোড হয়ে থাকলে স্ক্যান করে দেখুন।

কী করবেন যদি ভুল করে ক্লিক করে ফেলেন?

 ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করুন। Wi-Fi বা ডাটা বন্ধ করে দিন যাতে হ্যাকার ডেটা ট্রান্সফার করতে না পারে।

 পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন। সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড দ্রুত বদলে ফেলুন।

 ব্যাংকে জানান, যদি ব্যাংক ডিটেইলস লিক হয়ে থাকে, সাথে সাথে ব্যাংককে অ্যালার্ট করুন।

 এন্টিভাইরাস স্ক্যান চালান।ম্যালওয়্যার শনাক্ত হলে তা ডিলিট করুন।

ফিশিং থেকে বাঁচার টিপস:

মাউস কার্সার লিঙ্কের উপর রাখলে আসল URL দেখা যাবে। যদি সন্দেহ হয়, ক্লিক করবেন না।

টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন (2FA) চালু করুন। পাসওয়ার্ড চুরি হলেও অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা কঠিন হবে।

VirusTotal ব্যবহার করুন। সন্দেহজনক লিঙ্কটি এই সাইটে পেস্ট করে স্ক্যান করুন (www.virustotal.com)

৭. ডেটা ব্যাকআপ করে রাখুন। ডিজিটাল তথ্য রক্ষার নিরাপদ উপা


ডেটা ব্যাকআপ হলো আপনার গুরুত্বপূর্ণ ফাইল, ছবি, ডকুমেন্ট ইত্যাদির একটি নিরাপদ কপি তৈরি করা, যাতে কোনো দুর্ঘটনায় মূল ডেটা হারিয়ে গেলেও ব্যাকআপ থেকে তা ফিরে পাওয়া যায়।

ডেটা ব্যাকআপ হলো আপনার গুরুত্বপূর্ণ ফাইল, ছবি, ডকুমেন্ট ইত্যাদির একটি নিরাপদ কপি তৈরি করা, যাতে কোনো দুর্ঘটনায় মূল ডেটা হারিয়ে গেলেও ব্যাকআপ থেকে তা ফিরে পাওয়া যায়।

ডেটা ব্যাকআপ নেওয়ার পদ্ধতি:

হার্ডড্রাইভ কম্পিউটারে লাগান। ফাইলগুলি সিলেক্ট করে কপি-পেস্ট বা ব্যাকআপ সফটওয়্যার (যেমন: EaseUS Todo Backup) ব্যবহার করুন।

ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করুন।গুগল ড্রাইভ: ১৫ GB ফ্রি স্টোরেজ। গুরুত্বপূর্ণ ফাইল আপলোড করুন।

ড্রপবক্স/মাইক্রোসফ্ট ওয়ানড্রাইভ মত অনলাইন স্টোরেজে অটো-সিঙ্ক সুবিধা থাকে।

 অটোমেটিক ব্যাকআপ সেট আপ করুন। উইন্ডোজ: File History ফিচার চালু করুন (Settings > Update & Security > Backup)
ম্যাক: Time Machine ব্যবহার করে হার্ডড্রাইভে অটো ব্যাকআপ নিন।


৮. সিস্টেম পারফরম্যান্স মনিটরিং: 

সিস্টেম পারফরম্যান্স মনিটরিং (System Performance Monitoring) মানে হলো কম্পিউটার বা সার্ভারের কাজকর্ম কেমন চলছে সেটা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা। এতে CPU, RAM, হার্ডডিস্ক, নেটওয়ার্ক স্পিড, অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার ইত্যাদি দেখা হয়।
আপনার কম্পিউটার বা ফোন হঠাৎ ধীর হয়ে গেছে? ফ্যান অতিরিক্ত চলছে? একটু চললে অনেক বেশি গরম হচ্ছে ইত্যাদি।
এগুলো হতে পারে ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার আক্রমণের লক্ষণ।

৯. শক্তিশালী পাসওয়ার্ড

পাসওয়ার্ড হলো আপনার ডিজিটাল অ্যাকাউন্টের প্রথম এবং প্রধান সুরক্ষা ধাপ। এটি যেমন আপনার ব্যক্তিগত তথ্য রক্ষা করে, তেমনি দুর্বল পাসওয়ার্ড হ্যাকারদের জন্য দরজা খুলে দেয়। চলুন সহজ ভাষায় বুঝে নিই কেন শক্তিশালী পাসওয়ার্ড জরুরি এবং কীভাবে তৈরি করবেন

শক্তিশালী পাসওয়ার্ড কেন গুরুত্বপূর্ণ?

১. হ্যাকিং প্রতিরোধ করে।দুর্বল পাসওয়ার্ড যেমন "123456" বা "password" সহজেই হ্যাক করা যায়।

২. ডেটা সুরক্ষা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেইল সবই পাসওয়ার্ডের উপর নির্ভরশীল।

দুর্বল পাসওয়ার্ডের উদাহরণ যা এড়িয়ে চলবেন,

জন্ম তারিখ: "1980Rahim"

সহজ শব্দ: "iloveyou", "admin"

পুনরাবৃত্তি: "aaaaa1111"

সিকোয়েন্স: "qwerty", "abcd1234”

কীভাবে তৈরি করবেন শক্তিশালী পাসওয়ার্ড?

পদ্ধতি ১: বাক্যাংশ ব্যবহার করুন (Passphrase)

একটি বাক্যাংশ নিন এবং সংক্ষিপ্ত করুন।

উদাহরণ:
বাক্য: "আমার প্রথম গাড়ি ছিল টয়োটা ২০২৪ সালে কেনা!" পাসওয়ার্ড হবে: "A1GcT@2024$K!"

পদ্ধতি ২: শব্দের সাথে চিহ্ন ও সংখ্যা মিশ্রণ

একটি শব্দ নিন, কিছু অক্ষর বড় হাতের করুন, সংখ্যা ও চিহ্ন যোগ করুন।
উদাহরণ:শব্দ: "Chocolate"
পাসওয়ার্ড হবে: "Ch0c0L@t3#M!"

পদ্ধতি ৩: পাসওয়ার্ড জেনারেটর টুল ব্যবহার

পাসওয়ার্ড ম্যানেজার এবং টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন (2FA) ব্যাবহার করুন অবশ্যই।

১০. সফটওয়্যার আপডেট করুন।

সফটওয়্যার আপডেট মানে হলো আপনার মোবাইল, কম্পিউটার বা অন্য কোনো ডিজিটাল যন্ত্রে ব্যবহৃত প্রোগ্রাম বা অ্যাপ্লিকেশনকে নতুন ভার্সনে পরিবর্তন করা।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে, কেন সফটওয়্যার আপডেট করতে হবে?
কারণ হলো
প্রতিদিন নতুন নতুন ভাইরাস বা হ্যাকাররা নানা উপায়ে আমাদের যন্ত্রে ঢোকার চেষ্টা করে। যেসব পুরনো সফটওয়্যার আছে, সেগুলোর মধ্যে অনেক সময় কিছু দুর্বলতা বা ফাঁকফোকর থেকে যায়।

এই দুর্বলতা গুলিকেই বলে "সিকিউরিটি গ্যাপ" বা "নিরাপত্তার ফাঁক"।
সফটওয়্যার তৈরিকারী ডেভেলপাররা নিয়মিত এই ফাঁকফোকর খুঁজে বার করেন এবং ঠিক করার জন্য নতুন আপডেট তৈরি করেন।

১১. অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার আনইন্সটল

আমাদের মোবাইল বা কম্পিউটারে অনেক সময় এমন সব অ্যাপ বা সফটওয়্যার জমে যায়, যেগুলো আমরা আর ব্যবহার করি না, অথবা যেগুলো দরকার নেই। এগুলোকে বলে "অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার"।
এখন অনেকেই ভাবেন, এগুলো থাকলে ক্ষতি কী? আসলে এগুলো রাখলে শুধু জায়গা নষ্টই হয় না, বরং বিপদের কারণও হতে পারে। যেমন,-

পুরনো সফটওয়্যার যদি আপডেট না হয়, তাহলে সেগুলোর মধ্যে ফাঁকফোকর বা দুর্বলতা থেকে যায়। হ্যাকাররা ঠিক সেই দুর্বলতা ধরেই আপনার ফোনে বা কম্পিউটারে ভাইরাস ঢুকিয়ে দেয়।
আবার অনেক ফ্রি অ্যাপ যেমন "ফ্রি গেম", "ফ্রি কনভার্টার" বা "ফ্রি স্ক্যানার"এসবের মধ্যে লুকানো থাকে অ্যাডওয়্যার। এই অ্যাডওয়্যার আপনার চলাফেরা, ব্রাউজিং, পাসওয়ার্ড এমনকি ব্যাংকের তথ্যও ট্র্যাক করতে পারে।

অনেক অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ চুপচাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকে। এতে RAM (মেমোরি) আর CPU (প্রসেসর) ব্যস্ত হয়ে যায়। ফলে ফোন বা কম্পিউটার স্লো হয়ে যায়, গেম বা অন্য অ্যাপ খুলতে সময় লাগে।

এইসব সফটওয়্যার অনেক জায়গা নিয়ে ফেলে, বিশেষ করে যদি আপনি পুরনো ফোন ব্যবহার করেন। এতে দরকারি ছবি, ভিডিও বা নতুন অ্যাপ রাখার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা থাকে না। তাই এইসব অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ মুছে ফেললে আপনার ডিভাইস হালকা হয়ে যায়।

১০টি ভাইরাসের নাম কি কি?

1.  ILOVEYOU
2.  CryptoLocker
3.  MyDoom
4.  Storm Worm
5.  Sasser and Netsky
6.  Anna Kournikova virus
7.  Slammer
8.  Stuxnet
9.  Code Red
10. Conficker

১০ টি জনপ্রিয়ও এন্টিভাইরাস গুলো কি কি?

1.  Norton 360

2.  Bitdefender Total Security

3.  TotalAV

4.  McAfee

5.  Intego

6.  Panda Dome

7.  Kaspersky Premium

8.  Avira Prime

9.  Trend Micro

     10.  Malwarebytes

ম্যালওয়্যার কী? -What is Malware In Bangla

ম্যালওয়্যার (Malware) শব্দটি এসেছে "ম্যালিশিয়াস সফটওয়্যার" থেকে, যার মানে হল ক্ষতিকর সফটওয়্যার। এটা এক ধরনের খারাপ প্রোগ্রাম বা কোড, যেটা কম্পিউটার, মোবাইল বা ইন্টারনেট নেটওয়ার্কে লুকিয়ে ঢুকে পড়ে এবং ক্ষতি করে — যেমন ডেটা চুরি, সিস্টেম স্লো করে দেওয়া বা নিয়ন্ত্রণ নেওয়া।

ম্যালওয়্যার এর উদাহরণ গুলি হলো -

১. ভাইরাস (Virus)
2. র‍্যানসমওয়্যার (Ransomware)
3. স্পাইওয়্যার (Spyware)
4. ওয়ার্ম (Worm)
5. অ্যাডওয়্যার (Adware)

ম্যালওয়্যার থেকে বাঁচার সহজ উপায় কি?

1. ভালো অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন।
2. সবসময় সফটওয়্যার আপডেট রাখুন।
3. সন্দেহজনক লিংক বা অ্যাটাচমেন্ট ক্লিক করবেন না।
4. গুরুত্বপূর্ণ ডেটার ব্যাকআপ রাখুন (পেনড্রাইভ বা গুগল ড্রাইভে)।
5. ফায়ারওয়াল চালু রাখুন।

ফিশিং থেকে বাঁচার কিছু  টিপস

মাউস কার্সার লিঙ্কের উপর রাখলে আসল URL দেখা যাবে। যদি সন্দেহ হয়, ক্লিক করবেন না।

টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন (2FA) চালু করুন। পাসওয়ার্ড চুরি হলেও অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা কঠিন হবে।

VirusTotal ব্যবহার করুন। সন্দেহজনক লিঙ্কটি এই সাইটে পেস্ট করে স্ক্যান করুন (www.virustotal.com)।

পাসওয়ার্ড ম্যানেজার কী? - What is Password Manager in Bangla

পাসওয়ার্ড ম্যানেজার হলো একটি বিশেষ ধরনের সফটওয়্যার বা অ্যাপ, যেটা আপনার সব পাসওয়ার্ড এক জায়গায় নিরাপদে রেখে দেয়। যখন আপনি কোনো ওয়েবসাইট বা অ্যাপে লগইন করতে চান, তখন এটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেই পাসওয়ার্ড দিয়ে আপনাকে লগইন করিয়ে দেয়। একে সহজ ভাষায় বলা যায়, এটা এক ধরনের "ডিজিটাল তালাবন্ধ আলমারি" (Digital Locker)।

পাসওয়ার্ড ম্যানেজারের কত ধরনের ও কি কি?

পাসওয়ার্ড ম্যানেজারের
১. ফ্রি ভার্সন (বিনামূল্যে):
এই ধরনের পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করতে কোনো টাকা লাগে না।
উদাহরণ:

Google Password Manager (ক্রোম ব্রাউজারে পাওয়া যায়)

Bitwarden

২. পেইড ভার্সন (পয়সা দিয়ে কিনতে হয়):
এই ধরনের পাসওয়ার্ড ম্যানেজার আরও বেশি ফিচার দেয়, কিন্তু ব্যবহার করতে টাকা লাগে।
উদাহরণ:

LastPass

1Password

ফিশিং কি? - What is Phishing in Bangla

ফিশিং (Phishing) হল এক ধরনের সাইবার প্রতারণা, যেখানে হ্যাকাররা আপনাকে ভুয়া ইমেল, মেসেজ বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ধোঁকা দিয়ে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য (যেমন পাসওয়ার্ড, ব্যাংকের তথ্য, OTP) চুরি করে। এই প্রতারণায় হ্যাকার নিজেকে কোনো ব্যাংক, কোম্পানি বা পরিচিত অ্যাপ হিসেবে দেখিয়ে বিশ্বাস অর্জনের চেষ্টা করে।

ফিশিং-এর উদাহরণ হলো,
1. ভুয়া ব্যাংকের ইমেল বা SMS
2. ফ্রি রিচার্জ বা লটারি পাওয়ার ভুয়া প্রতিশ্রুতি
3. ভুয়া অফার লিংক (যেমন Amazon, Flipkart-এর নামে)
4. সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া ভিডিও বা মেসেজ (যেমন WhatsApp-এ পাঠানো লিংক)

উপসংহার

এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার কেবল একটি টুল নয়, এটি আপনার ডিজিটাল জীবনের বিশ্বস্ত প্রহরী। নিয়মিত আপডেট, ফুল স্ক্যান, এবং কোয়ারেন্টিন ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে আপনি ভাইরাসের হাত থেকে ডিভাইসকে রক্ষা করতে পারেন। পাশাপাশি সন্দেহজনক লিঙ্ক এড়িয়ে চলা, শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার এবং ডেটা ব্যাকআপ নেওয়ার মতো অভ্যাস গড়ে তুলুন। মনে রাখবেন, "প্রতিরোধ প্রতিকারের চেয়ে সহজ"—সাইবার হুমকি আক্রমণ করার আগেই সতর্ক হোন। এই ছোটো ছোটো পদক্ষেপই আপনাকে ডিজিটাল জগতে নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত রাখবে। সুস্থ থাকুন, সচেতন থাকুন