![]() |
Open Source Software in Bangla |
ওপেন সোর্স সফটওয়্যার কাকে বলে? উদাহরন ২০২৫:
ওপেন সোর্স সফটওয়্যার কাকে বলে? - What is Open Source Software in Bangla
ওপেন সোর্স সফওয়্যার (OSS) এমন এক software কে বলা হয় যার source code সম্পূর্ণভাবে viewable এবং changeable ।
এক কথায়,ওপেন সোর্স সফটওয়্যার এমন একটি সফটওয়্যার যার সোর্স কোড উন্মুক্ত—অর্থাৎ আপনি চাইলে সেটি দেখে, পরিবর্তন করে, নিজের মতো করে ব্যবহার করতে পারেন।
কিন্তু শুধু সংজ্ঞা দিয়ে এই জগৎকে বোঝা যায় না। চলুন দেখি কিছু বাস্তব উদাহরণ:
- Audacity: ফ্রি অডিও এডিটিং টুল, যেটি পডকাস্টারদের প্রিয়
- GIMP: ফটোশপের বিকল্প, ওপেন সোর্স ইমেজ এডিটর
-VLC Media Player: প্রায় সব ভিডিও ফরম্যাট চালাতে সক্ষম
এই সফটওয়্যারগুলো শুধু ফ্রি নয়, এগুলোর কোডও GitHub-এর মতো প্ল্যাটফর্মে পাওয়া যায়, যেখানে হাজার হাজার ডেভেলপার একসাথে কাজ করেন।
Windows একটা close source software অর্থাৎ এর source code কে কেউ দেখতে পারবে না এবং কেউ পরিবর্তনও করতে পারবে না। একে শুধুমাত্র কোম্পানী দেখতে ও চেঞ্জ করতে পারবে।
কিন্তু Linux এর source code কে আমরা দেখতে পারবো ও নিজের সুবিধা মত Change ও করতে পারবো।
Note : Source code সেই Behind-the-scenes প্রোগ্রামিং (Programming) এর অংশ কে বলে যেখানে সমস্ত Instructions ও Instructions এর Layout তৈরী করা হয়। এটি এক বিশিষ্ট প্রগ্রামিং ভাষাতে লেখা হয়, যেমন - Paython, HTML, C++, या Java ইত্যাদি। সোর্স কোড এর Access শুধুমাত্র ডেভেলপারদের কাছে থাকে।
ওপেন সোর্স সফটওয়্যার কত প্রকার ও কি কি? - Type of Open Source Software in Bengali
আপনি যদি কখনো VLC, GIMP, বা Audacity ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে আপনি হয়তো জানেন না—এই অ্যাপগুলো শুধু ফ্রি নয়, এগুলোর পিছনে আছে এক বিশাল আইনি কাঠামো।
যেটা ঠিক করে দেয়, আপনি এই সফটওয়্যার দিয়ে কী করতে পারবেন, আর কী করতে পারবেন না।
“লাইসেন্স” শব্দটা শুনলেই অনেকে ভয় পান…
কিন্তু ওপেন সোর্স লাইসেন্স মানে জটিল আইন নয়।
এটা একধরনের ছাড়পত্র, যেখানে বলা থাকে—এই সফটওয়্যার আপনি ব্যবহার করতে পারবেন, পরিবর্তন করতে পারবেন, এমনকি নিজের মতো করে বিতরণও করতে পারবেন।
তবে কিছু শর্ত থাকে, আর সেই শর্ত অনুযায়ী ওপেন সোর্স লাইসেন্সকে সাধারণত দুইটি ধারাতে ভাগ করা যায়।
কিন্তু ওপেন সোর্স সফটওয়্যারের কোনো “প্রকারভেদ” নেই!
ঠিক তাই।
সফটওয়্যার নিজে ভাগ হয় না—লাইসেন্স অনুযায়ী তার ব্যবহারযোগ্যতা বদলায়।
এই লাইসেন্সই ঠিক করে দেয়, আপনি কতটা স্বাধীন।
দুই ধরনের লাইসেন্স: কিন্তু পার্থক্য কোথায়?
এখানে কোনো “ভালো” বা “খারাপ” নেই—দুই ধরনের লাইসেন্সের নিজস্ব দর্শন আছে।
নিচে আমরা সেই দুইটি লাইসেন্সের ধারণা তুলে ধরছি, কিন্তু এক লাইনে নয়—কারণ এই বিষয়টা এক লাইনে বোঝানো যায় না।
Permissive License: স্বাধীনতা, কিন্তু শর্তসাপেক্ষ
- আপনি কোড ব্যবহার করতে পারেন, পরিবর্তন করতে পারেন, এমনকি নিজের প্রজেক্টে যুক্ত করে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারও করতে পারেন
- কিন্তু আপনাকে মূল লেখকের নাম উল্লেখ করতে হবে
- উদাহরণ: MIT, Apache, BSD
এই লাইসেন্সগুলো অনেকটা “তুমি ব্যবহার করো, শুধু কৃতজ্ঞতা জানাও” টাইপ।
Copyleft License: স্বাধীনতা, কিন্তু সমানভাবে ফিরিয়ে দিতে হবে
- আপনি কোড পরিবর্তন করতে পারেন, কিন্তু পরিবর্তিত কোডও ওপেন রাখতে হবে
- অর্থাৎ আপনি যদি নিজের সফটওয়্যার বানান, সেটাও ওপেন সোর্স করতে হবে
- উদাহরণ: GNU GPL
Software কাকে বলে?
Software হল কম্পিউটারের জন্য তৈরি প্রোগ্রাম ও নির্দেশের একটি সংগ্রহ, যা কম্পিউটারকে বিশেষ কোনো কাজ করার জন্য নির্দেশ দেয়।
সহজ ভাষায় যদি বলি, সফটওয়্যার হলো সেই জিনিস যা কম্পিউটারকে বলে দেয় যে তাকে কী করতে হবে, কীভাবে ও কখন করতে হবে।
এটি প্রধানত দুই প্রকার:
1. সিস্টেম সফ্টওয়্যার (System Software)- যেমন অপারেটিং সিস্টেম (Windows, Linux )।
2. অ্যাপ্লিকেশন সফ্টওয়্যার (Application Software) - যেমন MS Word, WhatsApp, VLC Player।
১০টি Open Source Software এর উদাহরণ- Open Source Software Example in Bangla
আমরা প্রতিদিন নানা রকম সফটওয়্যার ব্যবহার করি—কখনও ভিডিও দেখি, কখনও ইমেজ এডিট করি, কখনও ওয়েবসাইট বানাই। কিন্তু খুব কম মানুষই জানেন, এই সফটওয়্যারগুলোর অনেকগুলোই তৈরি হয়েছে এমন এক প্রযুক্তি ভিত্তিতে, যেখানে “স্বাধীনতা” শুধু ব্যবহার করার নয়, বরং বুঝে নেওয়ার, বদলে দেওয়ার, নিজের মতো করে গড়ে তোলার।
এই প্রযুক্তির নাম—ওপেন সোর্স।
এখানে শুধু সফটওয়্যার ফ্রি নয়, এর ভেতরের কাঠামো, কোড, চিন্তা—সবই উন্মুক্ত। আপনি চাইলে দেখে নিতে পারেন, শিখে নিতে পারেন, এমনকি নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী বদলে নিতে পারেন। এটা যেন প্রযুক্তির গণতন্ত্র।
যেমন ধরুন Linux। এটা কোনো সাধারণ অপারেটিং সিস্টেম নয়। এটি সেই ভিত্তি, যার উপর দাঁড়িয়ে আছে Android থেকে শুরু করে NASA-র সার্ভার পর্যন্ত। আপনি যদি মোবাইল ব্যবহার করেন, তাহলে Linux-এর ছোঁয়া আপনার হাতেই আছে।
VLC Media Player—যেটা দিয়ে আপনি প্রতিদিন ভিডিও চালান, সেটিও ওপেন সোর্স। আপনি চাইলে এর স্কিন বদলাতে পারেন, ফিচার যোগ করতে পারেন, এমনকি নিজের ভার্সন বানাতে পারেন।
Mozilla Firefox শুধু একটি ব্রাউজার নয়, এটি একটি আন্দোলন। যেখানে আপনার প্রাইভেসি, আপনার স্বাধীনতা—সবকিছুকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। আর আপনি চাইলে এর কোড দেখে বুঝতে পারেন, কীভাবে এটি কাজ করে।
Apache Web Server—যে ওয়েবসাইটে আপনি এখন আছেন, সেটিও হয়তো Apache দিয়ে চালিত। এটি বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওপেন সোর্স ওয়েব সার্ভার।
JQuery—ওয়েব ডেভেলপমেন্টকে সহজ করে তোলে। আপনি যদি ওয়েবসাইট বানাতে চান, তাহলে এর সাহায্যে JavaScript শেখা অনেক সহজ হবে।
OpenOffice—যারা Microsoft Office কিনতে পারেন না, তাদের জন্য এটি এক আশীর্বাদ। ডকুমেন্ট, স্প্রেডশিট, প্রেজেন্টেশন—সবই করা যায়, বিনামূল্যে।
GIMP—একটি ইমেজ এডিটিং টুল, যা ফটোশপের বিকল্প। ডিজাইনাররা এটি দিয়ে ব্যানার, পোস্টার, থাম্বনেইল তৈরি করেন।
Blender—যারা 3D অ্যানিমেশন, ভিডিও প্রোডাকশন, গেম তৈরি করতে চান, তাদের জন্য এটি এক সম্পদ। অনেক ইউটিউবার ও গেম ডেভেলপার এটি ব্যবহার করেন।
Drupal—একটি CMS, যা দিয়ে ওয়েবসাইট বানানো যায়। WordPress-এর মতো, কিন্তু আরও বেশি কাস্টমাইজযোগ্য।
Git—যদি আপনি কোড লেখেন, তাহলে Git আপনার প্রতিদিনের সঙ্গী। এটি version control করে, যাতে আপনি ভুল করলে আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারেন।
এই সফটওয়্যারগুলো শুধু টুল নয়, এগুলো একেকটি কমিউনিটির প্রতিফলন। যেখানে মানুষ একে অপরকে শেখায়, সাহায্য করে, এবং একসাথে কিছু গড়ে তোলে।
ক্লোজ সোর্স সফটওয়্যার কি? - What is Close source Software in Bangla
Close source software বলতে সেই সব Software কে বোঝায় যার source code বা software কে কেউই দেখতে ও পরিবর্তন করতে পারে না।
একে শুধুমাত্র সেই সফটওয়্যার এর মালিক তাকে দেখতে ও পরিবর্তন করতে পারবে।
এই ধরনের সফটওয়্যার কে Download করতে গেলে কিছু টাকা দিতে হয়। যেমন,
Windows operating system
Android operation system
Firefox
Google Chrome ইত্যাদি।
Open Source Software এর সুবিধা গুলি কী কী? - Advantage of Open Source Software in Bangla
টেকনোলজি (Technology) বিশ্বে Open source software এর ব্যবহার দিন দিন বেড়ে চলেছে ।
আজকে একই ধরনের সফটওয়্যার যা সবসক্রিপশন লাইসেন্স সফ্টওয়্যার আছে তার থেকেউ এই ওপেন সোর্স সফটওয়্যার অনেক বেশি জনপ্রিয়.।
সাধারণ সফটওয়্যার থেকে ওপেন সোর্স সফটওয়্যার এর অনেক বেশি সুবিধা আছে.
Open source software এর 10 টি সুবিধা গুলি হলো-:
1) কস্টমাইজেশান: ওপেন সোর্স সফটওয়্যার গুলিকে নিজের মত করে পরিবর্তন করতে পারা যায় ।
2) নিয়ন্ত্রণ করতে সহজ: এই ধরনের সফটওয়্যারকে সহজেই যে কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে,অর্থাৎ এর কোড কে দেখতে,পরিবর্তন করতে,ও যাচাই করতে পারে ।
3) ফ্রি ডাউনলোড : এই ধরনের সফটওয়্যার সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ইন্টারনেট থেকে Download করতে পারা যায়
এবং যেকেউ একে সহজেই ব্যবাহর করতে পারে ।
4) উচ্চ গুনাবলী (High Quality) : এর সোর্স কোডকে নিজের মত করে পরিবর্তন করতে পারা যায় এবং আরোও উন্নত সফটওয়্যার
এ পরিবর্তন করা হয় ।
5) সহজ সংশোধন (Easy to Modify): এর সোর্স কোড কে সহজে এবং যে কেউ সংশোধন করতে
পারে ।
6) জনপ্রিয়তা (Popularity): ওপেন সোর্স সফটওয়্যার খুব জনপ্রিয় এবং ব্যবহার
যোগ্য ।
7) সুরক্ষা (Security): এই ধরনের সফটওয়্যার অনেক সুরক্ষিত হিসাবে ধরা হয়,কেননা ওপেন সোর্স সফটওয়্যার কে অনেক ডেভেলপার দ্বারা যাচাই করা হয় ।
8) বহুমুখী ব্যবহার (Educational Use): ওপেন সোর্স সফটওয়্যার গুলিকে কে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়, শিক্ষা ক্ষেত্র থেকে বড় বড় কোম্পানি গুলিতে এই ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করা ।
9) কোডিং শিখতে সাহায্য করে : এইধরনের সফটওয়্যার ওপেন থাকায় যে কেউ এর Source Code কে দেখতে এবং Programming শিখতে পারে । যেসমস্ত ছাত্ররা কোডিং শিখতে চায় বা শিখছে তারা
এই ধরনের সফটওয়্যার এর কোডিং কে সহজে দেখতে,পড়তে পারে ।
10) বিস্তারিত ব্যবহার: ওপেন সোর্স সফটওয়্যার শুধুমাত্র এখন সফটওয়্যার পর্যন্ত সীমিত নয় । এই প্রোগ্রামিং কে ব্যবহার করে আর্টিকেল,ছবি,গান, ইত্যাদি ক্ষেত্রে করা হচ্ছে ।
Open Source Software কি আইনি?
হ্যাঁ, ওপেন সোর্স সফটওয়্যার (OSS) ভারতে সম্পূর্ণ ভাবে আইনি । তবে এই ধরনের
সফটওয়্যার ব্যবহার করার জন্য
এক বিশেষ দুই প্রকার এর লাইসেন্স দরকার পরে । এই
দুই লাইসেন্স দ্বারা সমস্ত OSS কে অর্থাৎ Open Source Software কে ব্যবহার,নিয়ন্ত্রন,পরিবর্তন,শেয়ার ইত্যাদি সব করা হয় ।
এই লাইসেন্স এর দ্বারা ব্যবহার কারীদেরকে সফটওয়্যার এর কোড কে পরিবর্তন, সংশোধন,শেয়ার করার নিয়ম,অনুমতি দেওয়া হয়েছে ।
ভারত সরকার প্রযুক্তি ক্ষেত্রে OSS কে ব্যবহার করার জন্য এবং ভারতীয় copyright কানুন এর অনুসারে ওপেন সোর্স লাইসেন্সে স্বীকৃতি দিয়েছে ।
আপনি যদি OSS কে কোনো ভাবে ব্যবহার করতে চান তাহলে অবশই সেই সফটওয়্যার এর লাইসেন্স সম্পর্কে সমস্ত নিয়ম আগে পড়ে ও বুঝে নিতে হবে যাতে সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করার সময় কোনো অসুবিধা যেন না আসে.
Open Source Software ও Closs Source Software এর মধ্যে পার্থক্য কি? - OSS vs CSS
১ . সোর্স কোড অ্যাকসেস:
● OSS: ওপেন সোর্স সফওয়্যার এর সোর্স কোড সকলের জন্য ওপেন থাকে অর্থাৎ যে কেউ এর কোডিং এর layout দেখতে পারে।
● CSS: Close source software er source code শুধুমাত্র কোম্পানির মালিক বা তার employee রা দেখতে পারে।
২ . Coading চেঞ্জ করার অনুমতি:
● OSS:এই ধরনের সফটওয়্যার এর কোডিং কে যেকেউ সহজে পরিবর্তন করতে পারে।
● CSS:শুধুমাত্র কোম্পানির মালিক এর কাছে এর অধিকার অছে।
৩ . খরচা:
● OSS:ইন্টারনেট থেকে একে বিনামুল্যে ডাউনলোড করে ব্যাবহার করা যায়।
● CSS:কিছু কিছু সফটওয়্যার ছাড়া প্রায়ই সমস্ত সফট্ওয়ার ব্যাবহার করার জন্য কিছু টাকা দিয়ে হয়।
৪.Licence নিয়ম:
● OSS:এর সফটওয়্যার ব্যাবহার করার জন্য এক ফ্রী লাইসেন্স দেয় যা সেই সফওয়ার এর সোর্স কোড কে নিজের ব্যাবহার মত পরিবর্তন করতে দেয়।
● CSS: paid লাইসেন্সএর দ্বারা এটা নির্ধারণ করে দেয় যে কোনো প্রকার এর সোর্স কোডকে দেখতে ও পরিবর্তন করতে করা নিষেধ থাকে।
৫.সংশোধন ও অনুকূল:
● OSS:একে নিজের মতো করে Edit করে Share করতে পারা যায়।
● CSS:সফটওয়্যার এর মালিক বা বিক্রেতা দ্বারা এর কোড এডিট করতে পারে।
৬ . সুরক্ষা:
● OSS: ওপেন সোর্স সফওয়্যার যে কোনো Developer দেখতে পারে তাই এর সুরক্ষার অনেক ভালো,যদি কোনো ঘাটতি থাকলে ত অনেক কম সময়ে তার পূরণ করা হয়।
● CSS: এটি সুরক্ষা হলেও সময়ের সাথে কোনো আপডেট বা কোনো ঘাটতি হলে তার পূরণ করতে সময় লাগে, কেননা এর অ্যাকসেস শুধুমাত্র এক মালিকের কাছে থাকে।
৭ . বিতরণ:
● OSS: এর সোর্স কোড কে কাউকে পাঠাবার অনুমতি আছে।
● CSS: এর কোনো ভাবে অনুমতি নেই।
● OSS: Android, Linux, Firefox, Open Office, GIMP, और VLC Media player ইত্যাদী। ● CSS: Windows, macOS, Internet Explorer, Google Earth, Microsoft Office, Adobe Flash Player,
ভারতে জনপ্রিয় ১০টি Open Source Software গুলি কী কী?
১. Linux: এটি হলো বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম (OS), Linux ভারতেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এটি তার সহজ ব্যাবহার, নিরাপত্তা , নিঃশুল্ক এবং কাস্টমাইজযোগ্যতার জন্য পরিচিত।
২. Mozilla Firefox
Mozilla company দ্বারা তৈরী এক ফ্রী ওপেন সোর্স ওয়েব ব্রাউজার। এটি google ক্রোম এর alternative হিসাবে অনেক জনপ্রিয়। এর সুরক্ষা দিক দিয়ে অন্যান্য ব্রাউজার থেকে অনেক বেশি জনপ্রিয়তা অছে।
৩. LibreOffice
এটি বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় OSS. বিশেষ করে এক দিকে যেমন মাইক্রোসফট তার সার্ভিসেস জন্য টাকা নেয় অন্য দিকে এই লিব্রে অফিস সম্পূর্ণ ফ্রী, এবং সহজ ব্যাবহার ও সুরক্ষিত। Word processing, Excel এর কাজ, ডাটাবেস ইত্যাদি সব কাজ করা হয় এবং এটি MS word এর alternative .
৪. GIMP
যারা adobe photoshop এর alternative খুঁজছেন তাদের জন্য এই OSS সবচেয়ে অন্যতম tool।এই সফটওয়্যার দ্বারা ফটোশপ, গ্রাফিক্স, ডিজাইন, image editing ইত্যাদি সমস্ত কাজ করতে সাহায্য করে।
৫. VLC Media Player
এটি একটি ফ্রী ওপেন সোর্স মাল্টিমিডিয়া। এর সাহায্যে সমস্ত রকম অডিও, ভিডিও কে চালানো যায়। এবং এডিট করা যায় । এর ব্যাবহার খুব সহজ, এবং যেকোনো ডিভাইস দিয়ে এতে কাজ করা হয়।
৬. Inkscape
ফ্রি এবং ওপেন সোর্স গ্রাফিক্স এডিটর যা চিত্র, আইকন, লোগো এবং আরও অনেক কিছু তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়। এটি গ্রাফিক ডিজাইনার এবং ওয়েব ডিজাইনারদের জন্য একটি জনপ্রিয় পছন্দ যারা Adobe Illustrator এর একটি alternative খুঁজছেন।
৭. Krita
ডিজিটাল ভাবে আর্ট তৈরি,ছবি, পেইন্টিং করা, ডিজাইন করা ইত্যাদির জন্য এই ওপেন সোর্স সফটওয়্যারটি ব্যাবহার হয়। এটি ফ্রী এক OSS Tool.
৮. Audacity
আপনি যদি এক Youtuber হন বা কোনো অডিও কে নিজের পছন্দের মত এডিট,পরিবর্তন করতে চান তাহলে এই ওপেন সোর্স সফটওয়্যার অনেক সাহায্যকর। এর সাহায্যে অডিও রেকর্ড ও করতে পারে। এখন তো অনেক গান , মিউজিক তৈরি ক্ষেত্রে এর ব্যাবহার করা হচ্ছে।
৯. Shotcut
এটি একটি Video Editor Software।এর ব্যাবহার বেশির ভাগ ক্ষেত্রে Youtube Video তৈরি ক্ষেত্রে করা হয়।তবে এর বৈশিষ্ট এতটা উন্নত হয়েছে যে এটি চলচ্চিত্র জগতেও এর ব্যাবহার হতে শুরু হয়ে গিয়েছে।
১০. Kodi
আপনি যদি এক হোম থিয়েটার এর মজা পেতে চান তাহলে এই Open Source Media Player টি অনেক ব্যাবহার করতে পারেন। এর সাহায্যে TV শো, মিউজিক, গান, সিনেমা ইত্যাদি ব্যাবহার করতে পারেন।
ভারতে উপলব্ধ অনেকগুলি জনপ্রিয় ওপেন সোর্স সফ্টওয়্যার প্রোগ্রাম গুলির মধ্যে এগুলি কয়েকটি। ওপেন-সোর্স সফ্টওয়্যার সফ্টওয়্যার খরচে অর্থ সাশ্রয় করার একটি দুর্দান্ত উপায়, এবং এটি আপনাকে আপনার নির্দিষ্ট চাহিদা মেটাতে সফ্টওয়্যার পরিবর্তন করার স্বাধীনতা দেয়।
২০২৫ সালের কিছু জনপ্রিয় Open Source Software এর নাম ও তার কাজ:-
1.LibreOffice
এটি MS Office এর altanative অর্থাৎ MS Office দ্বারা যে সমস্ত কাজবগুলো হয়ে থাকে যেমন ডকুমেন্টস তৈরি,এডিট, এক্সেল তৈরি করা , প্রেজেন্টেশন ইত্যাদি সব এই লীব্রে অফিস থেকে করা হয় এবং এটি সম্পুর্ণ ফ্রী।
2.GIMP
এটি ইমেজ এডিটিং জন্য সবচেয়ে ভালো টুল এবং এটি Adobe Photoshop এর alternative মত কাজ করে।
3.VLC Media Player
এটি একটি মিডিয়া প্লেয়ার যেখানে সমস্ত format er গান,অডিও, ভিডিও চালানো যায়।
4.Audacity
Jekono format এর অডিওকে এডিট করা হয় এবং রেকর্ডও করা হয়।
5.Mozilla Firefox
সবচেয়ে দ্রুত ও সুরক্ষিত ভাবে ওয়েব ব্রাউজার করা হয়।
6.*Apache OpenOffice*
এটিও একটি MS Office ও Libre Office এর laternative মত কাজ করে।
7.*Inkscape*
যারা গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করে বা শিখতে চায় তাদের জন্য এই OSS একটি ভালো বিকল্প।
8.*Blender*
3D Art তৈরী করতে করতে, অ্যানিমেশন ভিডিও ইত্যাদী ক্ষেত্রে এই OSS ব্যাবহার হয়।
9.*Linux*
এক জনপ্রিয় ফ্রী অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার।
10.*Nextcloud*
এর সাহায্যে আপনি নিজস্ব এক ক্লাউড স্টোরেজ তৈরি করে প্রয়োজনীয় documents গুলিকে সংরক্ষিত করতে পারেন।
11.*FileZilla*
FileZilla একটি বিনামূল্যের এবং ওপেন সোর্স সফটওয়্যার যা আপনাকে ফাইল ট্রান্সফার করতে সাহায্য করে। এটি FTP Client হিসাবে পরিচিত। FTP মানে ফাইল ট্রান্সফার প্রোটোকল(File Transfer Protocol )।
12.*Thunderbird*
Thunderbird হল একটি ফ্রি ওপেন সোর্স ইমেল টুল যা Mozilla Foundation দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এর দ্বারা আপনি আপনার একেধিক ইমেইল আইডি কে এক জায়গা থেকে চালাতে পারে। ইমেইল পাঠানো, ইমেইল পেতে, চ্যাট, নিউজ, ক্যালেন্ডার ইত্যাদি সব কাজ করতে পারা যায়।
13.*KeePass*
এটি একটি ফ্রী পাসওয়ার্ড ম্যানেজার।এর সাহায্যে মোবাইল, কম্পিউটার এ ব্যাবহৃত সমস্ত পাশওয়ার্ড কে ম্যানেজ করে।
14.*WordPress*
সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি ওপেন সোর্স কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (Content Management System) যা ওয়েবসাইট , ব্লগ তৈরী করার জন্য ব্যাবহার করা হয়।
15.*Docker*
Docker হল এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যা আপনার অ্যাপ্লিকেশনগুলিকে এক জায়গায় একত্রিত করে রাখে। যেখান থেকে সমস্ত অ্যাপস গুলিকে ব্যাবহার করা হয়।
16.*Git*
Git একটি ওপেন সোর্স সংস্করণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (Version Control System - VCS)। এর মানে এটি আপনাকে আপনার প্রকল্পে করা সমস্ত পরিবর্তনগুলি (যেমন কোড, নথি, ইত্যাদি) ট্র্যাক এবং পরিচালনা করতে সহায়তা করে৷
17.*Jenkins*
Jenkins একটি ওপেন সোর্স অটোমেশন সার্ভার যা সফ্টওয়্যার ডেভেলপমেন্ট প্রক্রিয়ার কাজে ব্যবহৃত হয়।
18.*MariaDB*
মারিয়াডিবি একটি ওপেন সোর্স রিলেশনাল ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (Relational database management system - RDBMS)।
কম্পিউটার এর ডাটা,তথ্য, ডকুমেন্টস ইত্যাদি গুলিকে সঠিক ভাবে সংরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে এমনকিই তথ্যকে এডিট করতে, ম্যানেজ করতে দেয়।
সহজ কথায়, মারিয়াডিবি আপনাকে পদ্ধতিগতভাবে ডেটা সংরক্ষণ এবং পরিচালনা করতে সহায়তা করে
19.Atom
এটি একটি টেক্সট এডিটর মত কাজ করে।যেখানে কোডিং লিখতে, এডিট করতে পারা যায়।
20.Kubernetes
এই OSS এপ্লিকেশন তৈরীর ক্ষেত্রে অনেক বেশি ব্যাবহার হয়। এপ্লিকেশন কে চালাতে, পরীক্ষা করতে, পরিচালনা করতে এই OSS বিশেষ ভাবে কাজে আসে।
ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম হলো এমন এক অপারেটিং সিস্টেম যার সোর্স কোড সকলের জন্য উপলব্ধ থাকে অর্থাৎ যে কেউ একে ফ্রীতে ডাউনলোড করতে পারে ও নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী এডিট করে, সংশোধন করে ব্যবহার করতে পারে.
ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম এর উদাহরন হলো, Linux, Free BSD, Open BSD, React OS,।
Source Code কি?
What is open source presentation software Names
১০টি Open Source Operating System এর নাম কি?
লিনাক্স (Linux) ছাড়া আরোও ১০টি ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম গুলি হলো-
- Free BSD
- Fedora
- Open SD
- CentOS
- Arch Linux
- Gentoo
- Void Linux
- Ubuntu
- Debian
- Open SUSE
- Linux Mint
- Manjaro