![]() |
About Software piracy in Bangla |
সফটওয়্যার পাইরেসি কি:
পাইরেসি কি? - What is Piracy in Bangla
Piracy মানে শুধু সমুদ্রের ডাকাতি নয়। যেখানে একদল মুখোশধারী ডাকাত—তারা জাহাজে হানা দিত, মাল লুট করত, আর পালিয়ে যেত।
কিন্তু এখন সময় বদলেছে, শব্দের মানেও বদলেছে।
আজকের দিনে Piracy মানে শুধু সমুদ্রের ডাকাতি নয়। এখন এই শব্দটা Internet Piracy বা Digital Piracy নামে এক ভয়ংকর অপরাধের নাম।
Piracy মানে—Online Theft।
যেখানে চুরি হয় Software, Music, Movies, Books—এমনকি Apps-ও।
আর এই চুরি হয় চোখের আড়ালে, ক্লিকের মাধ্যমে, Unauthorized Sharing আর Illegal Download এর মাধ্যমে।
Piracy কিভাবে ঘটে?
চলুন একটু সহজ করে বলি।
ধরুন, আপনি একটা জনপ্রিয় Movie Torrent Download করে বন্ধুদের পাঠালেন।
অথবা কোনো Paid Software ফ্রিতে ইন্টারনেটে ছেড়ে দিলেন (Software Piracy)।
এমনকি কোনো Book PDF বানিয়ে File Sharing এর মাধ্যমে ফেসবুকে শেয়ার করলেন।
এই সব কাজই Copyright Infringement বা Piracy।
সফটওয়্যার পাইরেসি কি? - What is Software piracy in Bangla
সফটওয়্যার পাইরেসি বলতে কোনো সফটওয়্যারকে বেআইনি ভাবে তার নকল করা, বন্টন করা বা তার ব্যাবহার ইত্যাদি কাজগুলো করা হয়।
এক কথায় যদি বলি যে, সফটওয়্যার এর কপিরাইট (Copy Right) নিয়ম কে অমান্য করে ব্যাবহার করা।
এই নিয়ম সেই সফটওয়্যার এর মালিক বা কোম্পানী ঠিক করে।
সফটওয়্যার এর পাইরেসি বেশ কিছু ভাবে করা হয় যেমন ,-
. বিনা License সফটওয়্যার এর
ব্যাবহার করা:
প্রায়ই
সব সফটওয়্যারের সাথে এক লাইসেন্স এগ্রিমেন্ট ( License Agreement) দেওয়া হয়। যেটাকে কিছু টাকা
দিয়ে কিনতে হয়। যেখানে এটা উল্লেখ থাকে যে সেই Software টিকে কীভাবে ব্যাবহার
করতে হবে এবং কি কি করা নিষেধ আছে।আপনি যদি সেই License কে না কিনে সফটওয়্যার
তাহলে সেটি বেআইনি হিসাবে ধরা হয় এবং সেটি হবে একটি সফটওয়্যার পাইরেসি।
. একটা লাইসেন্স কে কয়েকটি কম্পিউটারে ব্যাবহার করা:
মূলত
সফটওয়্যার এর এক আইন অছে যে একটা লাইসেন্স শুধুমাত্র একটা কম্পিউটার এর জন্য
ব্যাবহার করা যাবে।
কিন্তু
আপনি যদি সেই সফটওয়্যার এর এক কপি করে অন্য কোনো কমপিউটারে Install করে ব্যাবহার
করেন তো সেটি সফটওয়্যার এর চুরি করা হিসাবে ধরা হয়।
. ক্র্যাক সফটওয়্যার (Cracked Software)-এর ব্যবহার
ক্র্যাক(Cracked) সফটওয়্যার এর মানে হলো কোনো
সফটওয়্যার এর কপিরাইট (copy right) সুরক্ষার ভেঙ্গে ফেলা যাতে ব্যাবহার জন্য কোনো লাইসেন্স এর
দরকার না পরে ।
Internet এ অনেক ওয়েবসাইট আছে যা এই ধরনের Crack software ও Apps দিয়ে থাকে। এই সব website থেকে বেঁচে থাকতে হবে।
. সফটওয়্যারের কপি কাউকে দেওয়া বা সেটাকে বিক্রি করা:
যদি
আপনি কাউকে কপিরাইট সফটওয়্যার এর কপি দেন বা কাউকে বিক্রি করেন তবে সেটাও একটি
সফটওয়্যার পাইরেসি হিসাবে ধরা হয়।
ডিজিটাল পাইরেসি (Digital Piracy)কাকে বলে? উদাহরণ দাও - What is Digital Piracy in Bangla
ডিজিটাল পাইরেসি ডিজিটাল চুরি বলতে ইন্টারনেট এর সাহায্যে কোনো কপিরাইট সামগ্রী কে বেআইনি ভাবে নকল করা, তাকে বন্টন করা,কাউকে পাঠানো, বা বিনা লাইসেন্স-এ কোনো সফটওয়্যার ব্যবহার করা ইত্যাদিকে ডিজিটাল পাইরেসি বলে।
ডিজিটাল পাইরেসিতে সেই সব জিনিস যুক্ত থাকে যাকে তৈরী করতে অনেক টাকা ও পরিশ্রম লাগে।
উদাহরণ হিসাবে-একটা সিনেমা তৈরী করতে অনেক সময়, টাকা, পরিশ্রম লাগে।কিন্তু অনেকে সেই সিনেমা টিকে লুকিয়ে চুরিয়া,বা অন্য কোনো ভাবে copy করে তাকে ইন্টারনেট এ ফ্রি তে উপলব্ধ করে দেয়,তাকে বন্টন করে । এক্ষেত্রে ফিল্ম পাইরেসি বলা হয়। এক কোথায় সিনেমা চুরি করে।ডিজিটাল পাইরেসি অনেক রকম ভাবে করা হয় উদাহরণ হিসাবে-
·
গান
·
সিনেমা
·
ই-বুক
·
সফটওয়্যার
·
এপ্লিকেশন
·
ভিডিও গেম
·
ইত্যাদি সব জিনিস যা ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করি।
অ্যাপস পাইরেসি(Apps Piracy) কাকে বলে? - What is App Piracy?
এপ্লিকেশন পাইরেসি (Application Piracy) যাকে আপস পাইরেসি (apps Piracy) ও বলা হয়।সাধারণত আমরা Google Play Store বা Apple Store -এর মতো কোনো Official Apps Store থেকে আমরা Apps Download করি।
কিন্তু কিছু ওয়েবসাইট এবং থার্ড-পার্টি অ্যাপ স্টোর রয়েছে,যা অনুমতি ছাড়াই কপিরাইটযুক্ত অ্যাপ গুলিকে Download অধিকার দেয়। সেখান থেকে অ্যাপস ডাউনলোড করলে সেটি কপিরাইট নিয়ম কে লঙ্ঘন করা মত হয় যা App Puracy বলা হয়।
Mobile Apps বা Computer Apps গুলো কে বেআইনি ভাবে ব্যবহার করলে, Apps Piracy হিসাবে ধরা হয়।
Apps Piracy ঠিক সফটওয়্যার পাইরেসির মত যেখানে ডেভেলপার রা বা,কোনো কোম্পানি অনেক টাকা লাগিয়ে,পরিশ্রম করে, সময় লাগিয়ে তৈরি করে এবং কিছু Internet User সেই Software বা Apps এর নকল copy করে সকলের জন্য Free উপলব্ধ করে দেয়।
যার ফলে সেই সফটওয়্যার মাকিলের সারা পরিশ্রমীক, সময়, টাকা সব বরবাদ হয়ে যায়।
অ্যাপস পাইরেসি (App piracy) অনেক রকমের হয়ে থাকে.-
. ক্রেকিং পদ্ধতি (Cracking
Method) :
এর পদ্ধতিতে এক বিশেষ সফটওয়্যার এর
সাহায্যে Apps এর কপিরাইট সুরক্ষাকে ভেঙ্গে দেওয়া হয় যাতে Apps কে ব্যবহার
করার জন্য কোনো লাইসেন্সে এর দরকার না পরে.
. থার্ড পার্টি ওয়েবসাইট থেকে অপ্প্স
ডাউনলোড :
ইন্টারনেট এ অনেক Website আছে যেখান থেকে সমস্ত Paid Apps গুলো পাওয়া যায়. কিন্তু অনেকেই জানে যা যে এই Website এ পাওয়া বেশির ভাগ Apps Malware Apps, যা আপনার ফোন,কম্পিউটার কে ক্ষতিগ্রস্থ করে.
. অনুমতি ছাড়া Apps বাবহার :
অনেক সময় আসল developer কাছ থেকে বিনা অনুমতি ছাড়া Apps কে বিতরণ করে,তাতে Edit করে ব্যবহার করে.
Digital Piracy ১০টি ক্ষতিকারক দিক গুলি কি?
⒈ ডেভেলপারদের ক্ষতি:
যে সব কোম্পানি বা কোনো ডেভেলপার কোনো Apps , Software, Programming,বা কোনো সঙ্গীত, সিনেমা যখন তৈরী করে তখন সেটি তৈরী করতে অনেক সময়, টাকা, ও পরিশ্রম লাগে ।
কিন্তু পাইরেসি দ্বারা সেগুলো ফ্রি তে পেয়ে গেলে তা ডেভেলপার বা কোম্পানি দের আর্থিক ক্ষতি হয়, যার ফলে তারা ভবিষৎ এ ভালো কোনো পরিসেবা দিতে পারেনা. যা কোনো দেশের উন্নতির পথে বাধার সৃষ্টির মত কাজ করে.
⒉ সরকারের ক্ষতি:
কপিরাইট নিয়ম এর লঙ্ঘন হলে সরকারের কাছে হিসাব মত ট্যাক্স পৌছায় না. যার ফলে দেশের উন্নতি ঠিক মত হয় না. এই ডিজিটাল পাইরেসি হবার কারণে ট্যাক্স এর টাকা সকারের কাছে যায় না.
⒊ রোজগারের লোকসান:
যে সব কোম্পানি সফটওয়্যার, Apps , সঙ্গীত ইত্যাদি তৈরী করে তারা অনেক রকম কাজের সুবিধা দিয়ে থাকে
কিন্তু এই পাইরেসি কারণে অনেক কোম্পানি রোজগার দেওয়া বন্দ করে দিয়েছে.
⒋ সুরক্ষা অভাব :
pirated content (apps, software, song) গুলি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোনো থার্ড পার্টি Apps বা Website থেকে ডাউনলোড করতে পারা যায়।
কিন্তু অনেকেই জানেনা যে এই Third Party ওয়েবসাইটে থাকা Pirated সফটওয়্যার বা Apps গুলি ম্যালওয়্যার হতে পারে যা আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার কে ক্ষতি করে.আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য চুরি করতে পারে.
⒌ আইনের সমস্যা :
পাইরেসি একটা বেআইনি কাজ যা এক অপরাধ মত ধরা হয়। যদি কোনো ভাবে কাউকে ধরা হয় তাহলে তাকে জরিমানা সাথে সাথে জেলও হতে পারে.।এমনকিই পাইরেসি সংক্রান্ত কোনো গম্ভীর কাজ হলে সেক্ষেত্রে কঠিন শাস্তিও হতে পারে।
⒍ ভালোগুণমানের অভাব:
Piracy কনটেন্ট গুলো ক্র্যাক করা, বা অন্য কোনো কপি করে ব্যবহার করা হয় তাই এই ধরনের সফটওয়্যার,অপ্প্স গুলোর বৈশিষ্ট অনেকটা কমে যায়.
যেমন সিনেমা ঘর থেকে লুকিয়া করা ভিডিও শব্দ এবং ভিডিও খুব খারাপ হয়.তেমনি যেকোনো পাইরেসি কনটেন্ট এর গুণমান অনেকটা কমে যায়।
⒎ অলসতার বৃদ্ধি :
পাইরেসি মাধ্যমে খুব সহজেই পেইড (paid) জিনিস গুলো অনলাইন থেকে ফ্রি তে এবং বিনা পরিশ্রম
করে পাওয়া যাচ্ছে যার ফলে বর্তমান সময়ে মানুস অনেক অলস হয়ে পড়েছে. যার ফল স্বরূপ মানসিক ও শারীরিক অসুস্থতা সৃষ্টি হচ্ছে.
⒏ দেশের উন্নতি ক্ষেত্রে বাধা :
যে সকল ডেভেলপার বা কোনো কোম্পানি গুলি নতুন নতুন অপ্প্স, সফটওয়্যার তৈরী করে তারা পাইরেসি জন্য আর সে ভাবে সফটওয়্যার তৈরী করতে পারছে না. যা এক ভাবে দেশের উন্নতি দিকে বাধার সৃষ্টি হয়েছে।
ভারতে সফটওয়্যার পাইরেসি এর কি শাস্তি দেওয়া আছে ?
ভারতে সফটওয়্যার হোক বা অ্যাপস পাইরেসি দুই ক্ষেত্রে এক গম্ভীর অপরাধ, এবং এর শাস্তি বিভিন্ন পাইরেসি জন্য আলাদা আলাদা দন্ড দেওয়া হয়।
ভারতীয়শাস্তির নিয়ম:
ভারতীয় আইন IPC এর ধারা ৬৩ ও ৪২৬ তে কপিরাইট (Copy Right) লঙ্ঘনকে দন্ডনীয় শাস্তি হিসাবে ধরা হয়।এই অপরাধের শাস্তি হিসাবে জরিমানা এবং জেল দুটি হতে পারে।জরিমানা ২৫,০০০ ও তিন বছরের জেল।
সিবিল মামলা :
কোনো সফটওয়্যার কোম্পানি যদি তাদের তৈরী সফটওয়্যার বা অন্য কোনো পরিষেবার পাইরেসি করে তো সেই ব্যক্তির উপর করা শাস্তি সাথে সাথে বড় পরিপানের জরিমানাও করতে পারে.সফটওয়্যার পেতে অসুবিধা:যদি কেউ পাইরেসি করতে ধরা পরে তাহলে ভবিষতে কোনো দরকারী ও আসল সফটওয়্যার-এর লাইসেন্স পেতে অসুবিধা হতে পারে.
পাইরেসি কাকে বলে? Piracy Meaning In Bangla
পাইরেসি (Piracy) বলতে বোঝায় কাউকে না জানিয়ে বা অনুমতি না নিয়ে তার তৈরি করা কোনো কিছু—যেমন: সফটওয়্যার, এপ্লিকেশন,সিনেমা, গান, বই বা যেকোনো ডিজিটাল কনটেন্ট—অবৈধভাবে কপি করে কাউকে দেওয়া বা ব্যবহার করা।
উদাহরণ:
যদি আপনি কোনো সিনেমা সিনেমা হলে না দেখে, ইন্টারনেট থেকে বিনামূল্যে ডাউনলোড করে দেখেন, তবে সেটি পাইরেসির অন্তর্ভুক্ত। আবার কোনো পেইড সফটওয়্যার, এপ্লিকেশন গুলিকে ফ্রিতে download করে ব্যবহার করাও পাইরেসি।
সফটওয়্যার পাইরেসি কীভাবে হয়?
সফটওয়্যার পাইরেসি মানে হলো সফটওয়্যার অবৈধভাবে কপি, বিতরণ বা ব্যবহার করা। এটি বিভিন্নভাবে ঘটে, যেমন:
নিজের জন্য বা অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া (এন্ড-ইউজার পাইরেসি)
নকল সফটওয়্যার বিক্রি করা (জালিয়াতি)
ইন্টারনেটে অবৈধভাবে বিতরণ করা (ইন্টারনেট পাইরেসি)
অনুমোদিত সংখ্যার চেয়ে বেশি ব্যবহার করা (ক্লায়েন্ট-সার্ভার ওভারইউজ)
নতুন কম্পিউটারে অবৈধ সফটওয়্যার ইন্সটল করা (হার্ড-ডিস্ক লোডিং)
পাইরেসি কাদের ক্ষতি করে?
অনলাইন জগতে কোথাও পাইরেসি হলে প্রায় সকলেই যারা যারা যুক্ত থাকবে direct বা indirect সকলের ক্ষতি হতে পারে।
অ্যাপস, প্রোগ্রাম, ও সফটওয়্যার ডেভেলপার, ডিস্ট্রিবিউটর এবং শেষ পর্যন্ত ব্যবহারকারীরা সবাই পাইরেসি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সফটওয়্যার পাইরেসি প্রতিরোধের উপায় কি ?
সফটওয়্যার বা যেকোনো পাইরেসি থেকে বাঁচার জন্য অনেক রকম উপায় আছে যেগুলি সম্পর্কে জানা খুবই দরকার.যেমন,
কোনো সফটওয়্যার এর প্রয়োজন হলে সব সময় বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে হবে।
যেমন কোনো সফটওয়্যার ডেভেলপার এর ওয়েবসাইট থেকে বা কোনো সফটওয়্যার বিক্রেতার কাজ থেকে।অ্যাপস্ ডাউনলোড করতে হলে প্লে স্টোর ব্যবহার করুন.
সফটওয়্যার ইনস্টল করার আগে তার লাইসেন্সে এর এগ্রিমেন্ট ভালো করে পরে তার শর্ত গুলো পালন করতে হবে.
লাইসেন্সকে যাচাই করে নিতে হবে.
নিজের কম্পিউটারে এক ভালো এন্টিভাইরাস ইনস্টল করে রাখতে হবে এবং তাকে সময় সময় মত আপডেট করতে হবে.
যতটা সম্ভব ওপেন সোর্স সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করুন.এটি সম্পূর্ণ ফ্রি এবং এর ব্যবহারে অনেক সুবিধা আছে।
পাইরেসি থেকে বাঁচার উপায় কি?
পাইরেসি থেকে বাঁচার উপায় গুলি হলো-
শুধুমাত্র বিশ্বস্ত কোনো ওয়েবসাইট,ডেভেলপার
সাইট,কোনো সরকারী ওয়েবসাইট থেকে সিনেমা,গান,সফটওয়্যার, অপ্প্স ইত্যাদি ডাউনলোড করতে হবে।
subscription পরিষেবার ব্যবহার করতে হবে.কপিরাইট বা ডিজিটাল সম্পর্কিত সরকারী যে পাইরেটেড সফটওয়্যার এর ব্যাবহারের শাস্তি সফটওয়্যার পাইরেসির
পাইরেসির সবচেয়ে সাধারণ রূপ কোনটি?
সফটলিফটিং সবচেয়ে সাধারণ ধরনের পাইরেসি, সফ্টলিফটিং, যাকে সফটলোডিংও বলা হয়।
মানে এমন একজনের সাথে একটি প্রোগ্রাম শেয়ার করা যা লাইসেন্স চুক্তির দ্বারা অনুমোদিত নয়। করলে,সফটওয়্যারকে কাউকে দিলে বা তাকে ফ্রিতে ইন্টারনেট এ উপলব্ধ করলে সেটা পাইরেসি হিসাবে ধরা হয় ।
Computer এ চুরি বা piracy কী?
সফটওয়্যার পাইরেসি থেকে কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়?
সফটওয়্যার বা যেকোনো পাইরেসি থেকে বাঁচার জন্য অনেক রকম উপায় আছে যেগুলি সম্পর্কে জানা খুবই দরকার.যেমন,কোনো সফটওয়্যার এর প্রয়োজন হলে সব সময় বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে হবে.
যেমন কোনো সফটওয়্যার ডেভেলপার এর ওয়েবসাইট থেকে বা কোনো সফটওয়্যার বিক্রেতার কাজ থেকে.আপ্প ডাউনলোড করতে হলে প্লে স্টোর ব্যবহার করুন. সফটওয়্যার ইনস্টল করার আগে তার লাইসেন্সে এর এগ্রিমেন্ট ভালো করে পরে তার শর্ত গুলো পালন করতে হবে.
লাইসেন্সে কে যাচাই করে নিতে হবে.নিজের কম্পিউটারে এক ভালো এন্টিভাইরাস ইনস্টল করে রাখতে হবে এবং তাকে সময় সময় মত আপডেট করতে হবে.
যতটা সম্ভব ওপেন সোর্স সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করুন.এটি সম্পূর্ণ ফ্রি এবং এর ব্যবহারে অনেক সুবিধা আছে.
অনলাইন সফটওয়্যার কাকে বলে? - What is Online Software in Bengali
অনলাইন সফ্টওয়্যার বলতে সেই সব সফটওয়্যারকে বলা হয় যাকে ব্যবহার করার জন্য ইন্টারনেট প্রয়োজন। এটি কম্পিউটার বা মোবাইলে ইনস্টল করার পরিবর্তে একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে চলে৷ একে ক্লাউড সফটওয়্যারও বলা হয়।
পাইরেসি কাকে বলে?
পাইরেসি মানে হলো — কারও অনুমতি বা অধিকার ছাড়া তার তৈরি জিনিস চুরি করে ব্যবহার করা বা বিতরণ করা।
যেমন ধরো, কেউ অনেক কষ্ট করে একটা গান, সিনেমা, বই বা সফটওয়্যার বানালো।
এখন তুমি যদি সেটা বিনা পয়সায়, লুকিয়ে বা ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে ব্যাবহার করো অথবা অন্যদের দিয়ে দাও, তাহলে সেটা হলো পাইরেসি।
এইটা অনেকটা চুরি করার মতো ধরা হয় — যেমন আপনি কোনো দোকান থেকে কিছু না বলে নিয়ে যাওয়া।
পাইরেসি অর্থ কি? Piracy Meaning in Bengali
পাইরেসি মানে বলতে সাধারণত কপিরাইট আইনকে না মেনে অবৈধভাবে কোনো কিছু ব্যবহার বা বিতরণ করাকে বোঝায়। এটি প্রধানত দুই ধরনের হতে পারে:
সমুদ্রগামী পাইরেসি:
সমুদ্রে জলদস্যু বা ডাকাতি করা। যাত্রীবাহী জল জাহাজ, নৌকাতে ডাকাতি করা, লুটপাট করা।
ডিজিটাল পাইরেসি:
সফটওয়্যার, অ্যাপস, সিনেমা, বা কোনো ডিজিটাল সামগ্রী যাকে কিনতে হয়।কিন্তু অনেকে বেআইনি ভাবে, ফ্রীতে ব্যাবহার করে।
উদাহরণ: সিনেমা ডাউনলোড করা বা সফটওয়্যার ক্র্যাক ব্যবহার করা ইত্যাদি।
উপসংহার:
পাইরেসি একটি বেআইনি কাজ যা কোনো
সফটওয়্যার, অ্যাপস্,ই-বুক, ইত্যাদি গুলির অধিকারকে লঙ্ঘন করে এবং এই সব কোম্পানী গুলিকে ক্ষতি করে।
শুধু তাই নয় এটি কোনো দেশের উন্নতি ক্ষেত্রেও বাধা দেওয়ার কাজ করে।তাই আমাদের যতটা সম্ভব পাইরেসি সফটওয়্যার,সিনেমা, গান অ্যাপস্,প্রোগ্রাম ইত্যদি গুলিকে এরিয়া চলতে হবে. এই সব ফ্রি-বিনামূল্যে ব্যবহার করার জন্য সবচেয়ে সুরক্ষিত সফটওয়্যার “ওপেন সোর্স সফটওয়্যার” ব্যবহার করতে হবে।