 |
| About Google Sites in Bangla |
Google Sites কী? সহজভাবে জানুন এই ফ্রি ওয়েবসাইট টুল সম্পর্কে ২০২৫ : আজকের এই Digital যুগে নিজের একটি Website থাকা খুবই প্রয়োজন। আপনি যদি Student হন, Freelancer হন, Teacher হন বা কোনো ছোটো ব্যবস্যা করে করেন।
কিন্তু সবাই তো আর Coding জানে না! এই সময়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় Google Sites। এটি Google-এর দেওয়া একেবারেই Free একটি Website Builder Tool, যেখানে কোনো রকম Coding ছাড়াই খুব সহজভাবে ও দ্রুত নিজের Website বানাতে পারেন।
Google Sites কি? - What is Google Sites in Bangla
গুগল সাইট হলো গুগলের তৈরি একটি Free Website বানানোর প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আপনি কোনো কোডিং না জেনেও নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন।
সহজ ভাবে যদি বলি,
গুগল সাইটস এমন একটি জায়গা, যেখানে আপনি নিজের দোকান, ব্লগ, স্কুলের তথ্য দিয়ে, নিজের ব্যবসার জন্য ইত্যাদির ক্ষেত্রে একটি ওয়েবসাইট বানাতে পারেন—একদম বিনামূল্যে। এটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে সাধারণ মানুষও সহজে ব্যবহার করতে পারে।
শুধু মাত্র একটা Gmail account দিয়ে ওয়েবসাইট বানাতে পারেন।
Google Sites-এর বৈশিষ্ট্য গুলি কি কি?
 |
GOOGLE SITES-এর বৈশিষ্ট্য |
Google Sites একটি ফ্রীতে Website বানানোর এক online Tool,এর কিছু প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো,
● Drag-and-Drop Interface – মাউস দিয়ে টেনে এনে সহজেই কনটেন্ট সাজানো যায়।
● Coding-এর দরকার নেই – কোনো প্রোগ্রামিং জ্ঞান ছাড়াই Website তৈরি করা যায়।
● Google Tools Integration – Google Docs, Sheets, Drive ইত্যাদির সাথে সরাসরি যুক্ত করা যায়।
● Mobile Responsive Design – মোবাইল, ট্যাব ও কম্পিউটারে সমানভাবে সুন্দর দেখা যায়।
● Collaborative Editing – একাধিক ব্যক্তি একসাথে একই Website সম্পাদনা করতে পারেন।
Google Sites দিয়ে কি কাজ করা হয়?
Google Site থেকে আপনি ফ্রীতে নিজের মত ওয়েবসাইট বানিয়ে অনেক রকম কাজ করতে পারেন যেমন,
১. ছোট ব্যবসার Website তৈরি:
আপনি যদি দোকান বা ব্যবসা চালান, যেমন — "লোকাল দোকান" নামে কিছু বিক্রি করেন, তাহলে Google sites দিয়ে সহজে আপনার পণ্যের ছবি, দাম আর কাস্টমারের যোগাযোগের ব্যবস্থা সহ একটি সুন্দর ওয়েবসাইট বানাতে পারবেন। এতে গ্রাহকরা সহজে আপনার দোকান খুঁজে পাবে।
২. ব্লগ শুরু করা:
আপনি যদি লেখালেখি করতে ভালোবাসেন, তাহলে গুগল সাইট ব্যবহার করে নিজের টেক ব্লগ বা পণ্য রিভিউ ব্লগ খুলতে পারেন।
৩. Fortfolio Website:
যদি আপনি ফ্রিল্যান্স কাজ করেন (যেমন: ডিজাইন, ফটোগ্রাফি, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট), তাহলে নিজের কাজের নমুনা দেখানোর জন্য গুগল সাইটে পোর্টফোলিও বানাতে পারেন।
উদাহরণ: আপনি আঁকা ছবি, লোগো ডিজাইন বা করা প্রজেক্টের নমুনা সাজিয়ে রাখতে পারেন।
৪. ইভেন্ট পেজ তৈরি:
বিয়ে, জন্মদিন, অফিসের সেমিনার বা কোনো অনুষ্ঠান থাকলে, তার জন্য আলাদা একটি পেজ বানাতে পারেন। সেখানে সময়সূচি, ঠিকানা, অতিথি রেজিস্ট্রেশনের জন্য গুগল ফর্ম যোগ করা যায়।
৫. শিক্ষা ওয়েবসাইট:
স্কুল, কলেজ বা কোচিং সেন্টারের জন্য সাইট বানানো যায়। সেখানে নোট, ক্লাসের সময়সূচি, বা গুগল ফর্ম দিয়ে কুইজ-টেস্ট নেওয়া যায়।
৬. ল্যান্ডিং পেজ তৈরি:
যদি কোনো অ্যাপ বা পণ্য প্রচার করতে চান, তাহলে গুগল সাইট দিয়ে একটি ছোট পেজ বানিয়ে সেটার মাধ্যমে গ্রাহককে প্লে স্টোরে পাঠানো যায়।
৭. টিম সহযোগিতার সাইট:
আপনার ব্যবসা বা কাজের দলের জন্য সব তথ্য এক জায়গায় রাখতে পারেন। গুগল ড্রাইভ ফাইল, ক্যালেন্ডার ইভেন্ট ইত্যাদি যুক্ত করে সবাইকে আপডেট রাখা যায়।
৮. কন্টাক্ট ফর্ম সাইট:
আপনি যদি চান গ্রাহকরা সরাসরি ফর্ম পূরণ করে আপনাকে মেসেজ পাঠাক, তাহলে গুগল ফর্ম দিয়ে যোগাযোগের জন্য একটা সাইট বানাতে পারেন।
৯. ফটো গ্যালারি সাইট:
আপনার দোকানের পণ্যের ছবি বা কোনো অনুষ্ঠানের ছবি আলাদা গ্যালারির মতো সাজিয়ে একটি সাইটে রাখতে পারেন। গুগল ফটো থেকেও ছবি যুক্ত করা যায়।
১০. নিউজলেটার বা কমিউনিটি সাইট:
আপনার গ্রাহক বা অনুসারীদের জন্য নিয়মিত খবর, অফার, আপডেট পাঠানোর জন্য নিউজলেটার বা ছোট্ট কমিউনিটি সাইট তৈরি করতে পারেন। সাথে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম লিঙ্কও যোগ করতে পারেন।
উদাহরণ: “চেয়ার ডিলস”-এর নতুন অফার জানাতে নিউজলেটার রেজিস্ট্রেশন ফর্ম।
সংক্ষেপে যদি বলি,গুগল সাইটস হচ্ছে সহজ একটা মাধ্যম, যেখানে ঝামেলা ছাড়াই আপনার ব্যবসা, লেখা, কাজ, বা অনুষ্ঠানকে দুনিয়ার সামনে তুলে ধরতে পারবেন — একদম ফ্রিতে।
Google Sites-এ Website তৈরির ধাপ কি?
১. Login করুন Google Sites-এ – sites.google.com এ গিয়ে আপনার Google Account দিয়ে Sign in করুন।
২. Template Select করুন – পছন্দের Template বেছে নিন অথবা Blank Site থেকে শুরু করুন।
৩. Add Pages – যেমন Home, About, Contact ইত্যাদি নতুন Page যোগ করুন।
৪. Add Content – Text লিখুন এবং Photo বা Video Embed করুন।
৫. Customize Layout – Font, Color, Header ইত্যাদি নিজের মতো সাজিয়ে নিন।
৬. Preview করুন – আপনার Website কেমন দেখাচ্ছে তা দেখুন।
৭. Click Publish – Website প্রকাশ করুন।
৮. Set Custom URL – যদি নিজের Domain থাকে তবে সেটি Connect করুন।
Google Sites-এ Header কী?
Header মানে হলো আপনার ওয়েবসাইটের একদম উপরের অংশ।
এই জায়গায় আপনি সাইটের নাম, ছবি বা ব্যানার বসাতে পারেন।
এটা দেখে ভিজিটরদের প্রথম ইমপ্রেশন হয় , তাই সুন্দর ও পেশাদার দেখানো জরুরি।
Google সাইট এর হেডার ব্যানার সইজ কত?
Google Sites-এ ব্যানারের জন্য কিছু নির্দিষ্ট সাইজ ভালোভাবে কাজ করে যেমন,
. Large Banner: 1176x480 pixels যা বড় ব্যানার বানাতে কাজে লাগে।
. Banner: 1176x310 pixels মাঝারি ব্যানার
. Custom Design (Canva): 1600x400। pixels যা responsive ও সুন্দর দেখায়।
Canva-তে আপনি নিজের মতো করে ডিজাইন করে PNG/JPG ফরম্যাটে ব্যানার বানিয়ে Google Sites-এ বসাতে পারেন।
Google Sites-এর Header কত প্রকার ও কি কি?
Header মোট ৪ ধরনের হয়:
1. Cover:
পুরো পেজ জুড়ে থাকে
বড় ছবি + টাইটেল একসাথে দেখায়
2. Large Banner:
বড় ব্যানার
সাইজ: 1176x480 pixels
3. Banner:
মাঝারি ব্যানার
সাইজ: 1176x310 pixels
4. Title Only:
শুধু টাইটেল থাকে
কোনো ছবি বা ব্যাকগ্রাউন্ড নেই।
Google Sites এর সুবিধা গুলি কি কি? - Advantage of using Google Sites in Bangla
● ব্যবহার করা খুবই সহজ।
● মোবাইল ও কম্পিউটারে সুন্দরভাবে দেখায়।
● গুগলের অন্যান্য অ্যাপ যেমন ড্রাইভ, ডকস, ক্যালেন্ডার সহজেই যুক্ত করা যায়।
● একসাথে অনেকেই ওয়েবসাইট এডিট করতে পারে।
● রঙ, ফন্ট, ডিজাইন নিজের মতো করে বদলানো যায়।
● কে দেখবে, কে এডিট করবে—এসব নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
● গুগলে খোঁজার জন্য (SEO) কিছু সুবিধা দেয়।
● গুগল অ্যানালিটিক্স দিয়ে ভিজিটর দেখা যায়।
গুগল সাইটের অসুবিধাগুলো কী কী? - Disadvantage of Google Sites in Bangla
● টেমপ্লেট বা ডিজাইনের অপশন কম।
● নিজে কোড লিখে ডিজাইন বদলানো যায় না।
● অনলাইনে কিছু বিক্রি করার সিস্টেম নেই।
● বড় ও জটিল সাইট বানানোর জন্য ভালো না।
● নিজের নামে ডোমেইন লাগলে গুগল ওয়ার্কস্পেস কিনতে হয়।
● উন্নত SEO করার অনেক ফিচার নেই।
Google Site থেকে ওয়েবসাইট বানাতে কত টাকা লাগে?
গুগল সাইটস ব্যবহার করার জন্য সাধারণত কোনো খরচ হয় না। এটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়।
আপনার যদি জিমেইল অ্যাকাউন্ট থাকে, তাহলে আপনি সহজেই গুগল থেকে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।
গুগল সাইটসে হোস্টিংয়ের জন্য আলাদা কোনো ফি দিতে হয় না। গুগল নিজেই হোস্টিং সার্ভিস বিনামূল্যে দেয়।
অতিরিক্ত খরচ কখন হয় যখন,
১. কাস্টম ডোমেইন (যেমন: www.আপনারসাইট.com) ব্যবহার করতে চাইলে ডোমেইন কিনতে হয় (প্রতি বছর ১০-১৫ ডলার বা ১০০০-১৫০০ টাকার মতো)।
২. গুগল ওয়ার্কস্পেস (কোম্পানির জন্য) ব্যবহার করলে মাসিক চার্জ দিতে হয়, কিন্তু সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য এটি প্রযোজ্য নয়।
আমি কি কাস্টম ডোমেইন (যেমন: .Com) ব্যবহার করতে পারি?
উত্তর: হ্যাঁ, আপনি গুগল সাইটসে কাস্টম ডোমেইন (যেমন: www.আপনারসাইট.com) ব্যবহার করতে পারবেন! তবে দুটি শর্ত আছে:
আপনাকে প্রথমে একটি ডোমেইন কিনতে হবে (যেমন: GoDaddy, Namecheap , Hostinger বা অন্য কোনো সাইট থেকে)।
তারপর গুগল সাইটসের সেটিংসে গিয়ে ডোমেইনটি কানেক্ট করতে হবে।
Domain কী? - What is Domain in Bangla
ডোমেইন হলো আপনার ওয়েবসাইটের ইউনিক নাম ও ঠিকানা, যেটা ইন্টারনেটে আপনার সাইটকে চিনতে সাহায্য করে। যেমন: google.com, facebook.com, বা techbpage.com ।
ঠিক যেমন আপনার বাড়ীর একটি নির্দিষ্ট ঠিকানা থাকে, তেমনই ওয়েবসাইটেরও এই ঠিকানাটিকেই ডোমেইন বলা হয়।
https://www.techbpage.com/ এর সহজ ভাবে ব্যাখ্যা করে বলি,
https://www.techbpage.com/ হচ্ছে একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়েবসাইটের ঠিকানা, যাকে ইংরেজিতে URL বলে।
এতে কয়েকটি অংশ থাকে।
প্রথম অংশ https:// বোঝায় যে ওয়েবসাইটটি নিরাপদ – মানে আপনি যেসব তথ্য ওয়েবসাইটে দেন, সেগুলো নিরাপদভাবে আদান-প্রদান হয়।
এরপর www মানে “ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব”, যা বোঝায় এটি একটি ইন্টারনেট সাইট।
তারপরের অংশ techbpage হলো ওয়েবসাইটটির নাম – এটি যে কোনো কিছু হতে পারে, যেমন google, facebook বা আপনার ব্যবসার নাম। সবশেষে .com হলো ডোমেইন এক্সটেনশন, যা সাধারণত ব্যবসায়িক বা ব্যক্তিগত সাইটের জন্য ব্যবহার হয়। সব মিলিয়ে, https://www.techbpage.com/ মানে হলো—একটি নিরাপদ, ইউনিক ওয়েবসাইট, যার নাম techbpage এবং এটি .com ডোমেইনে আছে।
Google Site দিয়ে কি ধরনের Website তৈরী করা হয়?
১. ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট যেমন- রিজিউম, পোর্টফোলিও, ব্লগ, পারিবারিক ওয়েবসাইট, ভ্রমণের ডায়েরি ইত্যাদি ধরনের ওয়েবসাইট বানাতে পারেন। বিশেষ করে ছবি, ভিডিও, গুগল ড্রাইভের ফাইল যুক্ত করা যায় সহজেই।
২. ব্যবসায়িক ওয়েবসাইট বানাতে ছোট দোকান, ফ্রিল্যান্স সার্ভিস, কনসাল্ট্যান্সি ফার্মের সাইট তৈরী করে আপনার প্রোডাক্টের বিবরণ, দাম, অর্ডার ফর্ম (Google Form দিয়ে) যোগ করা করতে পারেন।
৩. শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট অর্থাৎ স্কুল বা কলেজের ওয়েবসাইট, শিক্ষকদের রিসোর্স পেজ, অনলাইন ক্লাসের ম্যাটেরিয়াল।
বিশেষত্ব PDF নোট, ই-বুক, ইউটিউব লেকচার ভিডিও যুক্ত করা যায়।
৪. ইভেন্ট বা প্রোজেক্ট ভিত্তিক সাইট করতে যেমন বিয়ের ইনভাইটেশন, সেমিনার রেজিস্ট্রেশন, প্রোজেক্ট ডকুমেন্টেশন।বিশেষ করে ইভেন্টের তারিখ, লোকেশন (Google Maps যোগ করা যাবে), রেজিস্ট্রেশন ফর্ম যোগ করা যাবে।
৫. কমিউনিটি বা সংগঠনের সাইট বানাতে যেমন স্থানীয় ক্লাব, এনজিও, সামাজিক সংগঠন।
বিশেষত্ব মেম্বার লিস্ট, ফান্ড রেইজিং ডিটেলস, গ্যালারি যুক্ত করা যায়।
৬. টিম বা অফিসিয়াল ইন্টারনাল সাইট
যেমন: কোম্পানির ইন্টারনাল পোর্টাল, প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ড্যাশবোর্ড।বিশেষত্ব গুগল ড্রাইভ, ক্যালেন্ডার, শিটের লাইভ লিঙ্ক শেয়ার করা যায়।
কোনটি ভালো, Google Sites নাকি Blogger?
Google Sites না Blogger আপনার জন্য কোনটি ভালো?
আপনি যদি একটি ওয়েবসাইট বানাতে চান, তাহলে প্রথমেই ভাবতে হবে আপনার উদ্দেশ্য কী? নিচে দুইটি জনপ্রিয় Google প্ল্যাটফর্ম আছে
১. Google Sites
২. Blogger
নিচে কিছু ধারণা দিলাম যাতে আপনি সহজেই বুঝতে পারেন -
১. যদি আপনার লক্ষ্য হয় সার্ভিস দেখানো:
Google Sites বেছে নিন।
- এটি একদম সহজ—কোনো কোডিং লাগবে না।
- শুধু ড্র্যাগ করে ছবি, লেখা, লিংক বসিয়ে আপনি একটি সুন্দর হোম পেজ বানাতে পারবেন।
- স্কুল, অফিস, কোম্পানির প্রোফাইল বা পণ্যের তালিকা দেখানোর জন্য একদম পারফেক্ট।
- তবে মনে রাখবেন—SEO অপশন সীমিত, তাই Google-এ র্যাংক করানো কঠিন।
উপযুক্ত ব্যবহার:
ব্যবসার পরিচিতি, যোগাযোগের তথ্য, সার্ভিস লিস্ট, বা একটি স্ট্যাটিক পেজ।
২. যদি আপনার লক্ষ্য হয় নিয়মিত কনটেন্ট পোস্ট করে ট্রাফিক বাড়ানো:
Blogger বেছে নিন।
- এটি একটি ব্লগ লেখার প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আপনি SEO করে পোস্ট করতে পারবেন।
- পোস্টের টাইটেল, মেটা ট্যাগ, লেবেল, URL—সব কিছু নিজের মতো করে কাস্টমাইজ করা যায়।
- Google Search Console ও Analytics সহজে যুক্ত করা যায়, যা ট্রাফিক বাড়াতে সাহায্য করে।
- আপনি চাইলে স্বাস্থ্য টিপস, AI tools এর লিস্ট, বা ফার্নিচার কেনার গাইডের মতো কনটেন্ট সিরিজ চালু করতে পারেন।
উপযুক্ত ব্যবহার:
নিয়মিত ব্লগ লেখা, SEO কনটেন্ট, গাইড বা টিপস শেয়ার করা।
গুগল সাইট কারা ব্যবহার করতে পারে?
- শিক্ষক বা ছাত্ররা পড়াশোনার তথ্য দিতে।
- ছোট ব্যবসা বা নতুন উদ্যোগ।
- অফিসের লোকজন একসাথে কাজ করতে।
- নিজের কাজ দেখানোর জন্য পোর্টফোলিও বা অনুষ্ঠান নিয়ে সাইট বানাতে।
Google Site দিয়ে কি একটি E Commerce Website বানানো যায়?
Google Sites হলো একটি সহজ ও free website builder tool, যা বিশেষ করে নতুনদের জন্য উপযোগী।
এর মাধ্যমে আপনি চাইলে একটি basic e-commerce website তৈরি করতে পারেন, যেখানে পণ্যের image, description এবং price দেখতে পারেন। তবে এটি অনেক limited features নিয়ে আসে।
যেমন, Google Sites-এ সরাসরি online payment integration করা যায় না। এছাড়া inventory management বা product stock control এর মতো জটিল Features এতে নেই।
Inventory Management কী?
Inventory management বলতে বোঝায়—পণ্য বা মালামালের হিসাব রাখা ও নিয়ন্ত্রণ করা। সহজভাবে বললে, কোনো দোকান বা ব্যবসায় কত products in stock আছে, কত sold হয়েছে, কত নতুন করে restock করতে হবে—এসব সঠিকভাবে দেখা শোনা ও হিসাব রাখাই হলো inventory management।
বিকল্প প্ল্যাটফর্ম
যদি আপনার advanced e-commerce features দরকার হয়, তাহলে Shopify, WooCommerce বা Zoho Inventory-এর মতো প্ল্যাটফর্ম বেশি কার্যকর। এগুলোতে আপনি payment gateway integration, order tracking, এবং inventory control system সহজেই ব্যবহার করতে পারবেন।
ই-কমার্স ওয়েবসাইটে কী কী করতে পারা যায়?
আপনি যদি গুগল সাইট দিয়ে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরী করেন তাহলে এর সুবিধা ও অসুবিধা কিছু আছে
সুবিধা:
১. প্রোডাক্ট শো-রুম: গুগল সাইটস দিয়ে আপনি প্রোডাক্টের ছবি, বিবরণ এবং দাম দিয়ে একটি ক্যাটালগ সাইট তৈরি করতে পারেন।
২. অর্ডার ফর্ম: গুগল ফর্মের মাধ্যমে কাস্টমারদের অর্ডার নিতে পারবেন। ৩. যোগাযোগের অপশন: WhatsApp, ইমেল অথবা ফোন নাম্বার যোগ করে কাস্টমারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন।
অসুবিধা:
অটোমেটিক পেমেন্ট গেটওয়ে (যেমন: বিকাশ, নগদ, ক্রেডিট কার্ড পেমেন্ট) গুগল সাইটসে সমর্থিত নয়। ইনভেন্টরি ট্র্যাকিং বা স্টক আপডেটের সুবিধা নেই।
কাস্টমার অ্যাকাউন্ট (লগইন বা রেজিস্ট্রেশন) তৈরি করা যায় না।
তবে আপনি যদি কোনো
ই-কমার্স ওয়েবসাইট বানাতে চান তাহলে Shopify, WooCommerce (WordPress), বা Daraz এর মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো। কারণ এসব প্ল্যাটফর্মে আপনি পেমেন্ট গেটওয়ে, ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট এবং কাস্টমার সাপোর্ট সবকিছু সহজেই পেয়ে যাবেন ।
যদি আপনার সাইটে ১০-২০টি প্রোডাক্ট থাকে এবং অর্ডার ম্যানুয়ালি নিতে চান, তাহলে গুগল সাইটস ব্যবহার করতে পারেন
Google Site-এ কতটুকু Storage পাওয়া যায়?
গুগল সাইটে ওয়েবসাইট বানাতে আলাদা কোনো স্টোরেজ লাগে না, সবকিছুই আপনার গুগল ড্রাইভের স্টোরেজ ব্যবহার করে।
প্রত্যেক গুগল অ্যাকাউন্টে ফ্রি ১৫ GB স্টোরেজ পাওয়া যায়, যা জিমেইল, গুগল ফটো এবং গুগল সাইটসসহ সব জায়গায় ভাগ করে ব্যবহার হয়।
তাই আপনি যদি গুগল সাইটে ছবি, ভিডিও বা PDF ফাইল যোগ করেন তাহলে সেগুলো ড্রাইভের স্টোরেজ খরচ করবে।
আর যদি ড্রাইভের স্টোরেজ ভরে যায়, তখন সাইটে নতুন কিছু আপলোড বা এডিট করা সম্ভব হবে না।
ডায়নামিক ওয়েবসাইট কী?
ডায়নামিক ওয়েবসাইট হলো এমন সাইট, যেখানে কনটেন্ট অর্থাৎ লেখা, ছবি ইত্যাদি আপনাআপনি পরিবর্তন হয়ে যায়।
মানে, সময়, ইউজার বা ডাটার উপর ভিত্তি করে ওয়েবসাইটের তথ্য আপডেট হয়। যেমন কোনো ই-কমার্স সাইটে পণ্যের দাম বা স্টক রিয়েল-টাইমে বদলায়।
আবার কোনো নিউজ ওয়েবসাইটে নতুন খবর বা ট্রেন্ডিং আপডেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসে।
ঠিক একইভাবে আবহাওয়ার ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত নতুন তাপমাত্রা বা আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য আপডেট হয়।
Interactive Website কী?
Interactive Website মানে যেখানে ইউজার সরাসরি অংশগ্রহণ করতে পারে। ইউজারের কাজ যেমন ক্লিক করা, ফর্ম পূরণ করা ওয়েবসাইটের কনটেন্ট বা ফাংশনে পরিবর্তন আনে।
উদাহরণ হিসেবে কোনো শপিং সাইটে চ্যাটবটের সাথে কথা বলে প্রোডাক্ট খুঁজে বের করা, কোনো অনলাইন শিক্ষার সাইটে কুইজে অংশ নেওয়া এবং সাথে সাথে ফলাফল পাওয়া ইত্যাদি।
How does Google Sites compare to other CMS platforms?
Google Sites অন্যান্য জনপ্রিয় CMS (Content Management System) অর্থাৎ WordPress.org, joomla, Drupal ইত্যাদি
প্ল্যাটফর্মগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে কিছুটা কম। তবে আপনার যদি কোনো ছোট ব্যবস্যা, দোকান থাকে বা আপনি নতুন ওয়েবসাইট বানাতে শিখছেন সেক্ষেত্রে গুগল সাইট (Google Sites) অনেক ভালো।
এটি খুবই সাধারণ ও সহজ একটি ওয়েবসাইট বানানোর ক্ষেত্রে Google Sites সেই কাজটা সহজেই করে দিতে পারে।
Google Sites-এ SEO (সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন) কীভাবে করা হয়?
প্রথমে আপনাকে জানতে হবে SEO কি? SEO হলো "সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন"। এটা এমন একটা পদ্ধতি, যার মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগকে গুগল অথবা অন্য কোনো সার্চ ইঞ্জিনের সবথেকে আগে আনতে সাহায্য করে।
ধরুন, কেউ যদি গুগলে সার্চ করে “ভালো কিবোর্ড”, তখন যে কয়টা ওয়েবসাইট গুগল প্রথমে দেখায়, সেগুলো SEO-এর সাহায্যে উপরে উঠে এসেছে।
সহজ কথায়, SEO এমন এক কৌশল যা ওয়েবসাইটকে গুগলের চোখে গুরুত্বপূর্ণ ও কাজে লাগার মতো করে তোলে, যাতে সেটা সহজে খুঁজে পাওয়া যায়।
এর তিনটি ভাগ আছে
On Page SEO
Off Page SEO
Technical SEO
ওয়েবসাইটের ভিতরের কাজ (On-Page SEO):-
প্রতিটি পেজের শিরোনামে অর্থাৎ টাইটেলে গুরুত্বপূর্ণ কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
সাইটের সেটিংসে গিয়ে সাইটের টাইটেল ও সংক্ষিপ্ত ডেস্ক্রিপশন যোগ করুন। ছোট এবং পরিষ্কার URL ব্যবহার করুন। পেজে বড় শিরোনাম (H1) এবং সাবহেডিং (H2, H3) দিন।
কীওয়ার্ড প্রাকৃতিকভাবে কনটেন্টে বসান এবং ছবির ফাইলনাম ও Alt টেক্সটে কীওয়ার্ড যুক্ত করুন।
এক পেজ থেকে অন্য পেজে লিংক দিন, যাতে সাইটের মধ্যে যোগাযোগ বজায় থাকে।
সাইটের বাইরে প্রচার (Off-Page SEO):
আপনার সাইটের লিংক ফেসবুক, লিঙ্কডইন, ব্লগ, ফোরাম ইত্যাদিতে শেয়ার করুন।
এছাড়া অন্য ওয়েবসাইটে অন্যের আর্টিকেল এর (Guest Blogging) করে ব্যাকলিংক তৈরি করুন, যা সাইটের র্যাংক বাড়াতে সাহায্য করবে।
টেকনিক্যাল কাজ (Technical SEO):
Google Sites অটোমেটিকভাবে মোবাইল-ফ্রেন্ডলি হয়, কিন্তু মোবাইলে ঠিকঠাক দেখা যাচ্ছে কিনা সেটা [Mobile-Friendly Test]-এ চেক করুন।
সাইটের গতি ঠিক রাখার জন্য বড় বড় ছবি এড়িয়ে যান এবং ছবি কমপ্রেস করুন।
Google Sites ইতিমধ্যে SSL (HTTPS) সরবরাহ করে, তাই আলাদা করে কিছু করতে হয় না।
ভালো মানের লেখা (Content Strategy):
পাঠককে উপকার করে এমন কনটেন্ট তৈরি করুন। যেমনঃ গাইড, ব্লগ, রিসোর্স। চেষ্টা করুন বড় বড় লেখা দিতে (কমপক্ষে ১০০০ শব্দের বেশি)। সময় সময় কনটেন্ট আপডেট করুন।
গুগলের টুল ব্যবহার করুন:
আপনার সাইট Google Search Console-এ রেজিস্টার করুন এবং সাইটম্যাপ submit করতে হবে যাতে গুগল আপনার ওয়েবসাইটকে সহজে খুঁজে পায়।
সাইটের ট্রাফিক ও ব্যবহারকারীর আচরণ বোঝার জন্য Google Analytics সেটআপ করতে হবে।
Google Site-এর সাথে আর কী কী যোগ করা যায়?
১. গুগলের নিজস্ব সার্ভিস:
আপনি Google Docs, Sheets, Slides সহজে সাইটে যোগ করতে পারেন। ফাইলগুলো সরাসরি দেখাতে "+" আইকনে ক্লিক করে সিলেক্ট করুন। Google Forms দিয়ে ফর্ম তৈরি করে সাইটে বসাতে পারবেন, যেটার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা যাবে। YouTube বা Vimeo ভিডিওর লিংক দিয়ে ভিডিও এম্বেড করা যায়। Google Calendar দিয়ে ইভেন্ট বা সময়সূচী দেখানো যায়। Google Maps দিয়ে আপনার লোকেশন যোগ করা যায়, যা দর্শকরা সহজে দেখতে পাবে।
২. সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্যান্য টুলস:
ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম পোস্ট লিংক দিয়ে সাইটে শো করা যায়, যদিও পুরো ফিড এম্বেড করতে বাহ্যিক টুল লাগতে পারে। Typeform বা Jotform দিয়ে বানানো সুন্দর ফর্ম Embed কোড দিয়ে যোগ করা যায়। চাইলে WhatsApp বা Tawk.to দিয়ে সরাসরি চ্যাট বাটনও সাইটে বসানো যায়, যাতে ভিজিটররা সরাসরি যোগাযোগ করতে পারে।
৩. অন্যান্য ইউটিলিটি:
গুগল অ্যানালিটিক্স কোড যুক্ত করে সাইটের ভিজিটরদের ট্র্যাক করা যায়। পেমেন্ট নিতে চাইলে PayPal বা Stripe-এর বাটন যোগ করা সম্ভব। এছাড়া Calendly ব্যবহার করে সাইটে অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুকিং সিস্টেম বসানো যায়, যেটা ব্যবসায়িক কাজে বেশ কার্যকর।
৪. কাস্টম ডিজাইন:
যদি আপনি কোডিং জানেন, তাহলে কাস্টম HTML বা JavaScript কোড দিয়ে নিজস্ব ডিজাইন বা বিশেষ ফিচার যেমন কাউন্টডাউন টাইমার, স্পেশাল বাটন যোগ করতে পারবেন। "+" আইকনের "Embed" অপশনে গিয়ে কোড পেস্ট করলেই হবে।
৫. গুরুত্বপূর্ণ টিপস:
গুগল সাইট সবকিছু এম্বেড সাপোর্ট করে না, শুধু নির্দিষ্ট লিংক বা Embed Code সাপোর্ট করে। মোবাইল ভিউতে সবকিছু ঠিকভাবে দেখাচ্ছে কিনা তা অবশ্যই চেক করুন। বড় প্রজেক্টের জন্য WordPress বা Webflow ভালো অপশন হতে পারে।
গুগল সাইটের টেমপ্লেট কি?
Google Sites-এর টেমপ্লেট হলো প্রি-ডিজাইন করা ওয়েবসাইটের নকশা, যেটা ব্যবহার করে আপনি সহজে ও অনেক তাড়াতাড়ি সাইট বানাতে পারেন।
এক কথায়, এটা ওয়েবসাইটের একটি খসড়া বা ফ্রেম যেখানে লেআউট, কালার, সেকশন ইত্যাদি আগে থেকেই সেট করা থাকে। আপনার কাজ শুধু কন্টেন্ট যেমন লেখা, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি যোগ করা।
টেমপ্লেটের সুবিধা কী কী?
১.টেমপ্লেটের ব্যাবহার করলে অনেক সময় বাঁচে, নতুন করে ডিজাইন করতে হয় না।
২.ওয়েবসাইট বানানোর জন্য কোডিং এর দরকার হয় না।
৩.ব্যবসা, স্কুল, ব্যক্তিগত সব ধরনের টেমপ্লেট পাওয়া যায় যা নিজের কাজ দেখানোর জন্য আলাদা আলাদা টেমপ্লেট ব্যাবহার করা হয়।
Google Site ছাড়া আর কি গুগলের ফ্রি ওয়েবসাইট বিল্ডার আছে?
গুগল সাইট (Google Sites) গুগলের একমাত্র ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরির প্ল্যাটফর্ম নয়, তবে এটি গুগলের সবচেয়ে সহজ ওয়েবসাইট তৈরির টুল। এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আপনি খুব সহজে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন, যেমন—ব্যবসার ওয়েবসাইট, স্কুলের ওয়েবসাইট বা পোর্টফোলিও। তবে, এর বাইরেও কিছু বিকল্প আছে যেগুলি কিছুটা আলাদা কাজের জন্য উপযুক্ত।
এছাড়া গুগলের আরেকটি ফ্রি প্ল্যাটফর্ম ব্লগস্পট (Blogger) রয়েছে, যা মূলত ব্লগ তৈরি করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। ব্লগস্পট ব্যবহার করে আপনি নিয়মিত ব্লগ লিখতে পারেন, যেমন—ভ্রমণ, রেসিপি, বা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করা। ব্লগস্পটের মাধ্যমে আপনি এডসেন্স ব্যবহার করে টাকা আয়ও করতে পারবেন। তবে, এটি পুরোপুরি ওয়েবসাইটের মত কাস্টমাইজেবল নয়।
গুগলের আরেকটি টুল Google My Business (আগে Google My Business নামে পরিচিত ছিল), যা মূলত ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসার নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর ইত্যাদি গুগল সার্চ এবং ম্যাপে প্রদর্শন করতে পারেন। এর মধ্যে একটি সহজ ওয়েবসাইট তৈরি করার অপশনও রয়েছে, তবে এটি খুব বেসিক এবং শুধুমাত্র ব্যবসার তথ্য প্রদর্শনেই সীমাবদ্ধ।
গুগলের ফ্রি ওয়েবসাইট বিল্ডার কোন গুলো? - গুগল ফ্রী Website Builder 2025
 |
| Google Free Website Builder |
1. গুগল সাইটস (Google Sites): মাল্টি-পেজ ওয়েবসাইট তৈরি করতে উপযোগী (যেমন, ব্যবসা বা পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট)।
2. ব্লগস্পট (Blogger): ব্লগ বা নিয়মিত আর্টিকেল পোস্ট করতে উপযোগী (যেমন, ভ্রমণ ব্লগ বা রেসিপি ব্লগ)।
3. Google My Business: স্থানীয় ব্যবসার জন্য ছোট এবং বেসিক ওয়েবসাইট তৈরির সুবিধা।
সুতরাং, যদি আপনি একটি প্রোফেশনাল ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান, তবে গুগল সাইটস সেরা বিকল্প। আর যদি আপনি ব্লগিং বা নিয়মিত আর্টিকেল লিখতে চান, তবে ব্লগস্পট ভালো হবে।
কয়েকটি ফ্রি ওয়েবসাইট বিল্ডার এর নাম কি?- Free Website Builder platform in Bangla
 |
| Free Website Builder platform |
➣ Wix
Wix একটি সহজ ওয়েবসাইট বিল্ডার, যেখানে আপনি ড্র্যাগ-এন্ড-ড্রপ করে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। এর ফ্রি ভার্সনে কিছু বিজ্ঞাপন থাকবে এবং একটি Wix সাবডোমেইন পাবেন (যেমন: yourname.wixsite.com)। তবে, পেইড প্ল্যান নিলে আপনি কাস্টম ডোমেইন ব্যবহার করতে পারবেন এবং বিজ্ঞাপন সরাতে পারবেন।
➣Weebly
Weebly তেও আপনি সহজভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। এর ফ্রি ভার্সনে একটি সাবডোমেইন (যেমন: yourname.weebly.com) পাবেন এবং কিছু সীমাবদ্ধতা থাকবে। পেইড ভার্সনে কাস্টম ডোমেইন, আরও স্টোরেজ এবং ফিচার পাবেন।
➣ Strikingly
Strikingly এক পৃষ্ঠার ওয়েবসাইট তৈরি করতে সাহায্য করে। ফ্রি ভার্সনে এক পৃষ্ঠা ওয়েবসাইট পাবেন এবং একটি সাবডোমেইন (যেমন: yourname.strikingly.com) থাকবে। পেইড ভার্সনে কাস্টম ডোমেইন, আরও পৃষ্ঠা এবং উন্নত ডিজাইন টুলস পাবেন।
➣ Carrd
Carrd খুব সিম্পল এবং সহজ এক পৃষ্ঠার ওয়েবসাইট তৈরি করতে দেয়। ফ্রি ভার্সনে একটি সাবডোমেইন (যেমন: yourname.carrd.co) পাবেন এবং কিছু সীমাবদ্ধতা থাকবে। পেইড ভার্সনে কাস্টম ডোমেইন এবং আরও ফিচার পাবেন।
➣Jimdo
Jimdo তেও ওয়েবসাইট তৈরি করা সহজ। ফ্রি ভার্সনে একটি সাবডোমেইন (যেমন: yourname.jimdosite.com) পাবেন এবং কিছু ডিজাইন টেমপ্লেট ব্যবহার করতে পারবেন। পেইড ভার্সনে কাস্টম ডোমেইন এবং আরও স্টোরেজ পাবেন।
➣Site123
Site123 একটি সহজ ওয়েবসাইট তৈরি করার প্ল্যাটফর্ম। ফ্রি ভার্সনে একটি সাবডোমেইন (যেমন: yoursite.site123.me) পাবেন এবং খুব সহজ ডিজাইন টেমপ্লেট পাবেন। পেইড ভার্সনে কাস্টম ডোমেইন এবং আরও স্টোরেজ পাবেন।
➣Durable.ai (AI-based)
Durable.ai একটি AI-বেসড ওয়েবসাইট বিল্ডার, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করতে সাহায্য করে। ফ্রি ভার্সনে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকবে। পেইড ভার্সনে উন্নত AI টুলস এবং আরও ফিচার পাবেন।
➣10Web (AI-based)
10Web একটি AI-ভিত্তিক WordPress বিল্ডার। ফ্রি ভার্সনে কিছু টেমপ্লেট এবং সিম্পল টুলস পাবেন, তবে পেইড ভার্সনে কাস্টম ডোমেইন এবং উন্নত ফিচার পাবেন।
কয়েকটি পেইড ওয়েবসাইট বিল্ডার এর নাম - Paid Website Builder platform in Bangla
➣ WordPress (Paid)
WordPress হল একটি শক্তিশালী ওয়েবসাইট বিল্ডার, বিশেষ করে ব্লগ এবং কন্টেন্ট সাইটের জন্য। পেইড ভার্সনে কাস্টম ডোমেইন, প্লাগিন এবং আরও SEO টুলস পাবেন।
➣Wix (Paid)
Wix এর পেইড ভার্সনে কাস্টম ডোমেইন, আরও স্টোরেজ, ই-কমার্স টুলস এবং SEO অপশন পাবেন। বিজ্ঞাপনও সরিয়ে ফেলতে পারবেন।
➣Squarespace
Squarespace অনেক সুন্দর ডিজাইন এবং কাস্টমাইজেশন অপশন দেয়। এটি বিশেষভাবে সৃজনশীল ওয়েবসাইট এবং ব্লগের জন্য ভাল। এর পেইড প্ল্যানে কাস্টম ডোমেইন এবং আরও ফিচার পাবেন।
➣Shopify
Shopify হল একটি ই-কমার্স সাইট তৈরির প্ল্যাটফর্ম। এটি অনলাইন শপ তৈরির জন্য আদর্শ। পেইড প্ল্যানের মাধ্যমে আপনি কাস্টম ডোমেইন, পেমেন্ট গেটওয়ে, ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট পাবেন।
➣Webflow
Webflow একটি শক্তিশালী ডিজাইন টুল যা খুবই সৃজনশীল ওয়েবসাইট তৈরি করতে সাহায্য করে। এর পেইড ভার্সনে কাস্টম ডোমেইন, ই-কমার্স ফিচার এবং উন্নত ডিজাইন অপশন পাবেন।
➣Joomla
Joomla একটি ওপেন সোর্স প্ল্যাটফর্ম যা খুবই কাস্টমাইজেবল। এটি বড় এবং জটিল ওয়েবসাইটের জন্য উপযুক্ত।
➣Drupal
Drupal একটি শক্তিশালী কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS) যা বড় ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ্লিকেশনের জন্য উপযুক্ত। এর পেইড ভার্সনে কাস্টম থিম এবং আরও শক্তিশালী ফিচার পাবেন।
➣Bubble (No-code)
Bubble একটি নো-কোড প্ল্যাটফর্ম যা আপনাকে কোনো কোড ছাড়াই ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে দেয়। এটি খুবই শক্তিশালী এবং পেইড প্ল্যানের মাধ্যমে আপনি আরও টুলস এবং ফিচার পাবেন।
কোন প্ল্যাটফর্ম আপনি ব্যাবহার করবেন?
● ফ্রি ওয়েবসাইটের
জন্য: Wix,
Weebly, Carrd, এবং Site123 ভাল অপশন।
● ই-কমার্স সাইটের
জন্য: Shopify
(পেইড) বা WordPress এ WooCommerce।
● ব্লগ বা কন্টেন্ট
সাইটের জন্য: WordPress
(পেইড)।
● সৃজনশীল ডিজাইন সাইটের জন্য: Squarespace এবং Webflow (পেইড)।
● AI-বেসড ওয়েবসাইট তৈরির জন্য: Durable.ai এবং 10Web।
উপসংহার
গুগল সাইটস একটি সহজ ও উপকারী টুল, যার মাধ্যমে কেউ খুব সহজেই নিজের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারে। এটি একদম বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায় এবং বিশেষ কোনো কোডিং জ্ঞান ছাড়াই
আশাকরি আজকে এই লেখা আপনাদের পছন্দ হয়েছে এবং নিজে এক ফ্রী ওয়েবসাইট বানিয়ে নিতে পারবেন।
FAQs on Google Sites in Bengali
১. Google Sites দিয়ে ওয়েবসাইট কীভাবে বানাবো?
আপনার Gmail অ্যাকাউন্টে লগইন করে sites.google.com এ যান। তারপর “Blank” বা “Template” সিলেক্ট করে ছবি, লেখা, ভিডিও যোগ করে সহজে ওয়েবসাইট তৈরি করুন।
২. Google Sites কি একদম ফ্রি?
হ্যাঁ, Google Sites সম্পূর্ণ ফ্রি। কোনও হোস্টিং চার্জ বা সাবস্ক্রিপশন লাগে না। শুধু নিজের Gmail অ্যাকাউন্ট থাকলেই হবে।
৩. Google Sites-এ নিজের ডোমেইন যুক্ত করা যায় কি?
হ্যাঁ, আপনি চাইলে নিজের .com বা .in ডোমেইন Google Sites-এর সাথে যুক্ত করতে পারেন। তবে ডোমেইন আলাদা করে কিনতে হবে।
৪. Google Sites SEO-friendly কি?
হ্যাঁ, আপনি যদি সঠিক টাইটেল, description, এবং keywords ব্যবহার করেন, তাহলে Google Search-এ আপনার সাইট সহজে র্যাংক করবে।
৫. Google Sites-এর জন্য ফ্রি টেমপ্লেট কোথায় পাবো?
Google Sites-এর ভিতরেই কিছু ফ্রি টেমপ্লেট থাকে। এছাড়া কিছু থার্ড-পার্টি সাইট থেকেও আপনি ডিজাইন আইডিয়া নিতে পারেন।
৬. Google Sites দিয়ে ব্যবসার ওয়েবসাইট বানানো যাবে কি?
অবশ্যই! ছোট ব্যবসার জন্য Google Sites খুবই উপযোগী। আপনি পণ্য, দাম, ছবি, এবং কন্টাক্ট ডিটেইলস সহ একটি পেশাদার সাইট বানাতে পারেন।
৭. Google Sites-এ YouTube ভিডিও বা Google Maps যুক্ত করা যায় কি?
হ্যাঁ, খুব সহজে YouTube ভিডিও, Google Maps, Google Calendar, এবং Google Forms embed করা যায়।
৮. Google Sites-এ কিভাবে ছবি ও পণ্য যুক্ত করবো?
“Insert” অপশন থেকে “Images” সিলেক্ট করে আপনার পণ্য বা চেয়ারের ছবি যোগ করতে পারবেন। চাইলে caption বা দামও লিখে দিতে পারবেন।
৯. Google Sites-এ কিভাবে কন্টাক্ট ফর্ম বা WhatsApp বাটন যুক্ত করবো?
Google Forms ব্যবহার করে কন্টাক্ট ফর্ম বানিয়ে embed করা যায়। WhatsApp বাটনের জন্য আপনি “Button” অপশন থেকে custom link যোগ করতে পারেন:
https://wa.me/9740000000
১০. Google Sites-এ বানানো সাইট কি মোবাইলে ঠিকভাবে দেখা যায়?
হ্যাঁ, Google Sites মোবাইল রেসপন্সিভ। আপনার সাইট মোবাইল, ট্যাব, ও কম্পিউটার সব ডিভাইসে সুন্দরভাবে দেখা যাবে।